আগরতলা, ৩০ এপ্রিল(হিঃস)৷৷ এই প্রথম রাজধানী আগরতলায় বজরঙ্গ দল তাদের শক্তি প্রদর্শন করলো৷ আগরতলার অদূরে চাম্পামুরায় প্রশিক্ষণ শিবির শেষে বজরঙ্গ দলের স্বেচ্ছাসেবকরা আজ রাজপথে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে৷ রাজধানী প্রাণকেন্দ্র রবীন্দ্র ভবনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে বজরঙ্গ দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা শহরবাসী কে সম্বোধনা করে বক্তব্য রাখেন৷ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বক্তব্য রাখেন বজরঙ্গ দলের সর্বভারতীয় সংগঠন মন্ত্রী মনোজ ভর্মা৷ তিনি দেশের সামগ্রিক অবস্থায় প্ররিপ্রেক্ষিতে যুব সমাজ কে দেশ মাতৃকার জন্য এগিয়ে আসার জাক দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, দেশের পরিবর্তনের ঢেউ উঠেছে৷ এই প্রথম এমন প্রধানমন্ত্রী এসেছেন যিনি রাষ্ট্র স্বার্থে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন৷ অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যিনি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার বদ্ধপরিকর৷ তিনি বলেন, গোমাতা আর নদী মাতৃকার পূজা করতে হবে, রক্ষা করতে হবে৷ নদী দূষণ মুক্ত রাখাতে হবে আর গা হত্যা বন্ধ করতে হবে৷ এজন্য সারা দেশ ব্যাপী কর্মসূচী শুরু হয়েছে৷ বজরঙ্গ দলে লক্ষ্য, আদর্শ নিষ্ঠ, ও দেশভক্ত বলিদানের জন্য প্রস্তুত সংগঠিত যুব সমাজ তৈরী করা৷ কাশ্মীর ইস্যু উল্লেক করে তিনি বলেন, বিদেশী শক্তির প্রভাবে এদেশের সেনা বাহিনীর উপর পাথর ছুঁড়ছে দেশ দ্রোহিতারা৷ আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই তথাকথিত মানবাধীনকার সংগঠন গুলি হুঙ্কার দেয়৷ এই ধরনের পরিস্থিতি বরদাস্ত করা যায়না৷ বজরঙ্গ দল ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
এইদিকে বজরঙ্গ দলের উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক পূর্ণচন্দ্র মন্ডল বলেন, ত্রিপুরার অধিকাংশ জনগণ বিতাড়িত হয়ে পূর্ববাংলা থেকে এখানে এসেছেন৷ এখানেও ধর্মান্তকরনের প্রবণতা মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে৷ গ্রাম পাহাড়ে ধর্ম বিচ্যুতির ঘটনা প্রতিদিন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ আর এটা পরীক্ষিত সত্য হিন্দু ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে যুবকরা মূলত রাষ্ট্রদ্রোহিতার পথই বেছে নেয়৷ তিনি জানান, এরাজ্যে বজরঙ্গ দলকে আরও সুসংঘটিত করে তোলা হবে৷
2017-05-01

