নয়াদিল্লি, ৩০ এপ্রিল (হি.স) : নতুন ভারত এগোবে ইপিআইদের হাত ধরে । এই রবিবারের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এমনই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । মন্ত্রী–আমলাদের লালবাতির পর এবার দেশবাসীর মন থেকে ভিআইপি সংস্কৃতি ছেঁটে ফেলতে ইপিআই (এভরি পার্সন ইজ ইম্পর্ট্যান্ট) সংস্কৃতির কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী । তাঁর এদিনে ভাষণে উঠে আসে মে দিবস প্রসঙ্গ, এছাড়া নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অন্যভাবে চিন্তাভাবনা করার উৎসাহ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে, গ্রীষ্মে পশুপাখি ও সমাজবন্ধুদের খেয়াল রাখার কথাও বলেছেন তিনি।
মাথা থেকে ভিআইপি সংস্কৃতি দূর করে মোদী বলেন, ‘ভিআইপি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দেশবাসীর মধ্যে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। তা টের পেয়েই সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। গাড়িতে লালবাতি লাগানো থাকলে তা ভিআইপি সংস্কৃতিরই জানান দেয়। যা আমাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই প্রথমেই মন্ত্রী–আমলাদের গাড়ি থেকে লালবাতি ছেঁটে ফেলা হয়েছে। যত বড় মহান ব্যক্তিই হন না কেন, এখন থেকে আর গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে ঘোরা যাবে না। প্রত্যেক ভারতীয়ই গুরুত্বপূর্ণ। ১২৫ কোটি ভারতীয়কে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই। তাই ভিআইপি সংস্কৃতিতে ইতি টানতেই হবে। ভিআইপি নন, নতুন ভারত এগোবে ইপিআইদের হাত ধরে ।’
আগামীকাল মে দিবস। সেই উপলক্ষ্যে এদিনের মন কি বাতে শ্রমিকদের অধিকারে বাবাসাহেব অম্বেডকরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আমাদের সব সময় নিজেদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের কথা মাথায় রাখা উচিত। অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে রামানুজাচার্যের সংগ্রামের কথাও বলেন তিনি।
নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অন্যভাবে চিন্তাভাবনা করার উৎসাহ দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভারত বৈচিত্র্যয় পরিপূর্ণ, তরুণ পড়ুয়াদের উচিত সব সময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করা- তা সে নতুন ভাষা হোক, বা সাঁতার কাটা বা ছবি আঁকা।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, তিনি দেখেছেন, মানুষ নিজেদের গণ্ডি বা কমফর্ট জোন থেকে বার হতে চায় না। তাঁর অনুরোধ, সবাই নিজের নানা দিক খুঁড়ে বার করুক, নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হোক।
গ্রীষ্মে পশুপাখিদের খেয়াল রাখার কথাও বলেছেন তিনি। পিয়ন, দুধওয়ালা, সব্জি বিক্রেতার মত যাঁরা আমাদের বাড়ি আসেন, তাঁদের জল খাওয়ানোর কথাও বলেন তিনি।