অভিজিৎ রায়চৌধুর৷৷ নয়াদিল্লি, ১৮ জানুয়ারী৷৷ ত্রিপুরার চাষীদের কাছ থেকে দশ হাজার মেট্রিক টন চাল ক্রয় করে

গণবন্টন ব্যবস্থা তথা রেশনে সরবরাহ করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ দীর্ঘদিন ধরেই ত্রিপুরা সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে এই প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল যাতে রাজ্যের চাষীদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করে রেশনে সরবরাহ করা হয়৷ শেষ পর্যন্ত বুধবার নয়াদিল্লীতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে এই বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী রাম বিলাস পাশোয়ান৷ সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষকদের কাছ থেকে যে চাল ক্রয় করবে রাজ্য সরকার তার মূল্য কেন্দ্রীয় সরকার মিটিয়ে দেবে৷
এদিন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী রাম বিলাস পাশোয়ানের সাথে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ সাক্ষাৎকালে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যের চাষীদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করার বিষয়ে সম্মতি প্রদানের দাবী জানান৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবীতে পত্রপাঠ সম্মতি দিয়ে দেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী৷ পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারীকদের নির্দেশ দিয়েছেন এই বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য৷ এরই সাথে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন রাজ্যে ধান ভাঙার মিলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছেন আগামী এপ্রিল থেকে রাজ্যে গম সরবরাহ করা হবে৷ অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রীর কাছে দাবী জানিয়েছেন যাতে প্রতিমাসে জনপ্রতি দশ কেজি করে চাল দুই টাকা দরে সরবরাহ করার জন্য৷ বর্তমানে যার দর প্রতি কেজি তিন টাকা৷ রাজ্যে বর্তমানে তিন লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্যের প্রয়োজন জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী৷ এফসিআই এই খাদ্যশষ্য সরবরাহ করছে রাজ্যকে৷
এদিকে, বর্তমানে দেশের ষোলটি রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করে গণবন্টন ব্যবস্থায় সরবরাহ করা হচ্ছে৷ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি এই চাল ক্রয় করছে৷ পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার ক্রয় করা চালের মূল্য রাজ্যগুলিকে দিয়ে দিচ্ছে৷ এই ব্যবস্থা ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে চালু হয়েছিল৷ তাতে স্থানীয় কৃষকরা যেমন একটি নির্দিষ্ট স্থানে তাদের ফসল বিক্রি করতে পারছেন, তেমনি গণবন্টন ব্যবস্থার জন্য চাল সরবরাহ করার ক্ষেত্রে যে পরিবহণ ব্যয় হতো তাতে অনেকটাই রেহাই মিলবে৷ সেই সঙ্গে স্থানীয় চাল রেশনে পেলে ভোক্তারা তাদের নিজস্ব স্বাদও পাবেন৷ এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার সরাসরি খাদ্য শষ্য ক্রয় করবে, মজুত করবে এবং প্রয়োজন অনুসারে গণবন্টন ব্যবস্থায় রেশনে সরবরাহ করবে ভোক্তাদের জন্য৷ তাছাড়া গণবন্টন ব্যবস্থায় অন্যান্য প্রকল্পেও এই চাল বিলিবন্টন করা যাবে৷

