উত্তর ২৪ পরগনা, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.) : “আমরা মুসলিমদের ওই রামরাজ্য দিতে চাই। এটাই হল সবকা সাথ সব কা বিকাশ। সকলের মঙ্গল হোক। এটাই মোদীজির মন্ত্র।” শনিবার বসিরহাটের সভায় এই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমার খুব ভাল লাগছে, অনেক চাচা, মুরুব্বি, মুসলমিরা এসেছেন। আপনারা একটু দাঁড়াবেন তো। আমরা জয় শ্রীরাম বলব, আপনারা ভারত মাতা কি জয় বলবেন। নো প্রবলেম।”
শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমাদের ভগবান হলেন রামচন্দ্র। আর রাম রাজ্য মানে জানেন তো? তার মানে হল, প্রতি হাতে কাজ, পেটে ভাত, মাথায় ছাদ।
অটলবিহারী বাজপেয়ীকে অনেকে কট্টরপন্থী নেতা হিসাবে দেখতেন বা মানতেন না। তাঁদের মতে, লালকৃষ্ণ আডবাণী অনেক বেশি কট্টর। আবার অনেকে মনে করেন, হিন্দুত্বের আবার কম বেশি কী! বাজপেয়ীকেও অযোধ্যায় যেতে হয়েছিল। এ হেন বিজেপি অতীতেও বারবার মুসলিম মন পাওয়ার চেষ্টা করেছে ভোটের আগে। কিন্তু কোথাও যে একটা আস্থার ঘাটতি রয়েছে তা বারবার ফুটে উঠেছে।
শুভেন্দুবাবু এদিন বলেন, “মুসলিমের সঙ্গে আমাদের কোনও বিবাদ নেই। প্রধানমন্ত্রী যতগুলো স্কিম এনেছেন, সেখানে জাতপাতের কোনও ভেদাভেদ নেই। সিএএ মানে কাউকে দেশ থেকে তাড়ানো নয়। মতুয়া, নমঃশুদ্র সমাজ থেকে যাঁরা বর্ণীয় উৎপীড়নের কারণে উৎখাত হয়ে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।”
শুভেন্দুবাবুর দাবি, “সারা দেশে বিজেপি ১৬-১৭টা রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে, কোথাও একটা মুসলমানকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা কেউ বলতে পারবে না।” তাঁর কথায়, “তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করছে। বিজেপির নামে কুৎসা রটাচ্ছে, যাতে বাংলার ৩০-৩৫ শতাংশ মুসলিম ভোট আঁকড়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে।“
একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “৬৫ হাজার সংখ্যালঘু ভোট থাকা নন্দীগ্রামে যদি জিততে পারি, তাহলে বসিরহাটে আপনারা পারবেন না কেন? কী করতে হবে আমরা জানি। ভয়মুক্ত পরিবেশ দরকার তো, কথা দিচ্ছি, আমি করে দেব।”