কলকাতা, ১১ অক্টোবর (হি.স.) : মধ্য কলকাতার জনপ্রিয় দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো। প্রতি বছর এটি মন্ডপের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত স্থাপত্য প্রদর্শন করে। এই বছর মহম্মদ আলি পার্কের যুব সমিতি, উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দিরকে দুর্গাপুজোর থিম হিসেবে প্রতিস্থাপন করছে।
মহম্মদ আলী পার্ক দুর্গাপুজো সমিতি বিভিন্ন বিভাগে বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছে এবং তাই এটি কলকাতার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ দুর্গাপুজো হিসেবেও বিবেচিত হয়। ১৯৬৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে যুব সমিতি। এটি উত্তর ও মধ্য কলকাতার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাবগুলির মধ্যে একটি। মধ্য কলকাতার সবচেয়ে জনপ্রিয় এই দুর্গাপুজোকে শহরের অন্যতম বিশেষ এবং বিখ্যাত পুজো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারা এ বছর দুর্গাপুজো উদযাপনের ৫৫ বছর পূর্ণ করবে।
বাংলার ভক্তরা সর্বদা বাবা কেদারনাথের দর্শন পেতে আগ্রহী। মাত্র কয়েকজন সৌভাগ্যবান মানুষ বাবার দরজায় পৌঁছতে সক্ষম হয়, কিন্তু কলকাতার মানুষের জন্য সুখবর হল বাবা কেদারনাথ দর্শনের জন্য তাঁদের শহরে আসছেন। কেদারনাথ মন্দির হল উত্তর ভারতের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৮৪ মিটার উচ্চতায় মন্দাকিনী নদীর তীরে অবস্থিত। কেদারনাথ মন্দির উত্তরাখণ্ডের চার ধাম ও পঞ্চ কেদারের একটি অংশ এবং ভারতে ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি।
মহম্মদ আলি পার্ক দুর্গাপুজো যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র কুমার শর্মা বলেন, “আমরা কেদারনাথ মন্দিরের প্রতিরূপ নির্মাণের ধারণা নিয়ে এসেছি কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই কেদারনাথে যাননি। এই প্যাণ্ডেলের মাধ্যমে তাঁরা ওই মন্দিরের আভাস পেতে পারেন।
পবিত্র মন্দির হিসেবেই এই মণ্ডপকে তাঁরা অনুভব করতে পারেন যে শিবের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের একটির দর্শন হচ্ছে। প্যাণ্ডেলের বাইরের চেহারা অবিকল কেদারনাথ মন্দিরের মতো হচ্ছে। এ বছর মায়ের প্রতিমা রূপে দেখানো হবে ‘শিব শক্তি’। দেবী মায়ের এই মূর্তি তৈরি করছেন মেদিনীপুরের বিখ্যাত কারিগর কুশ বেরা। থিম অনুযায়ী আলোকসজ্জা চন্দননগরের।”