মাজুলি (অসম), ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : মাজুলিতে প্ৰায় ৮৯৪ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে নির্মিত কয়েকটি গুরুত্বপূৰ্ণ প্ৰকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। ‘বিকাশর বাবে এটা পষেক’ (বিকাশের জন্য এক পক্ষ) কাৰ্যসূচির অধীনে আজ এ-সব প্ৰকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেন, আজ মাজুলির কাছে এক বিশেষ দিন। বিকাশের জন্য এক পক্ষ কাৰ্যসূচির অধীনে প্ৰায় ৮৯৪ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে নির্মিত গুরুত্বপূৰ্ণ কয়েকটি প্ৰকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করে বেজায় আনন্দিত ড. শর্মা। যে সব প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন সে সবের উপকারিতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এ-সব প্ৰকল্পের বলে মাজুলিবাসী জনসাধারণের বহুদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গুরুত্বপূৰ্ণ ভূমিকা গ্ৰহণ করবে।
‘অসম মালা’ প্রকল্পের অধীনে ৬৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে লুইত এবং সুবনশিরি নদীর ওপর দুটি সেতু সহ মাজুলির বালিচাপরি থেকে সড়কের উন্নীতকরণের জন্য ভূমি পূজন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে বালিচাপরিকে সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা নিৰ্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্ৰহণের ফলে ক্ষতিগ্ৰস্ত পরিবারবর্গকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী চেক বিতরণও করেছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মাজুলি সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস, মাজুলির বনগাঁওয়ে বিদ্যমান ঔদ্যোগিক প্ৰশিক্ষণ প্ৰতিষ্ঠানের উন্নীতকরণ, অক্ষয়পাত্ৰ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সেন্ট্রাল মিড-ডে মিল কিচেন, জাবরচুক থেকে হালধিবাড়ি পর্যন্ত ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের পাড়ে একটি বাঁধ, ছয়টি রাস্তা, মাজুলিতে কয়েকটি ৩৩x১১ কেভি পাওয়ার সাব-স্টেশনের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
এছাড়া ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্ৰান্ত থেকে আগত পৰ্যটকদের সুবিধার্থে ‘স্বদেশ দৰ্শন’ প্রকল্পের অধীনে মাজুলি কমলাবাড়িঘাট, ট্ৰাইবাল থিম ভিলেজ, জেংরাইমুখ এবং সামগুড়ি সত্ৰের ভবন, বন্যার সময় মাজুলিবাসীদের সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখে অসম রাজ্য দুৰ্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিৰ্মিত করতিপাড়ে বহুমুখি বন্যাক্রান্ত আশ্ৰয়স্থল, বনগাঁও থেকে ফুলনি সংযোগী রাস্তারও উদ্বোধন করেছেন ড. শর্মা।
আজকের অনুষ্ঠানে ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রীবর্গ যথাক্রমে ডা. রণোজ পেগু, জয়ন্তমল্ল বরুয়া এবং নন্দিতা গারলোসা, সাংসদ প্ৰদান বরুয়া, বিধায়কগণ যথাক্ৰমে ভূবন গাম, নবকুমার দলে, অমিয়কুমার ভূঞা এবং মানব ডেকা, মিসিং স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কাৰ্যনির্বাহী সদস্য পরমানন্দ চায়েঙিয়া, অসম পৰ্যটন উন্নয়ন নিগমের অধ্যক্ষ রিতুপৰ্ণ বরুয়া সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পদস্থ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ এবং স্থানীয় সর্বস্তরের নাগরিক।