BRAKING NEWS

খাবারের সংকট মুঙ্গয়াকামীর হাতি ক্যাম্পে

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৩ জুন৷৷ ১০-১৫ দিন ধরে মধু, কিশোর, গীতা, মতিলাল সহ তাদের পালনকারীরদের মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকট৷ ক্ষুদার্থ সেই চারটি পালিত হাতি যেকোনো সময় হামলা করতে পারে রক্ষণাবেক্ষণকারী দের উপর৷ এমনই ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা আঠারোমুড়া পাহাড়ের মুঙ্গিয়াকামীর ৩৭ মাইলস্থিত হাতি ক্যাম্পে৷ অল্পেতে হাতির হামলা থেকে রক্ষা পেল রক্ষণাবেক্ষণকারী এর সহায়ক৷
কিছুদিন পূর্বে ঘটা করে পর্যটকদের আনন্দ দেওয়া এবং হাতি ক্যাম্পে পর্যটকদের ভিড় জমানোর উদ্দেশ্যে উদ্বোধন করা হয়েছিল এই হাতি ক্যাম্পটি৷ অভয়ারণ্য সিপাহীজলা থেকে মধু, কিশোর, মতিলাল এবং গীতাকে আনা হয়েছে এই হাতি ক্যাম্পে৷কিন্তু বর্তমানে ১০-১৫ দিন ধরে পার্কে বসবাসকারী চারটি হাতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যারা রয়েছে তাদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে তীব্র জল সংকট এবং খাদ্য সংকট৷তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন দপ্তরের  এস ডি এফ ও তথা সাবীর কান্তি দাস এর কাছে তাদের এই দুঃখ দুর্দশার কথা জানালেও  কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না৷ এদিকে রক্ষণাবেক্ষণকারীদে পানীয় জলের সংকট, এছাড়াও অন্যান্য কাজের জন্য তীব্র  জলের সংকট দেখা দিয়েছে৷ সেই সাথে হাতিগুলির খাবারেরও পর্যাপ্ত পরিমাণে যোগান দিতে ব্যর্থ বনদপ্তর৷  রক্ষণাবেক্ষণকারীরা খাবারের অভাবে ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে৷ একপ্রকার অসহায় হয়ে  বারবার তেলিয়ামুড়া  বনদপ্তর এর কাছে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ তারা৷ ফলে বাধ্য হয়ে রাজ্য পি সি সি এফ এর কাছে ফোন যোগে  সমস্ত ঘটনা জানান রক্ষণাবেক্ষণকারী তথা মাহুথদাররা৷ তাৎক্ষণিক রাজ্য বন আধিকারিক তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বনদপ্তর এর মহকুমা বন আধিকারিক তথা এস ডি এফ ও সাবির কান্তি দাস মুঙ্গিয়াকামী ৩৭ মাইল স্থিত হাতি ক্যাম্পে গিয়ে রক্ষণাবেক্ষণকারীদে চূড়ান্ত পরিমাণে ইংরেজি ভাষায় গালিগালাজ করে৷ তৎসঙ্গে জানতে চান কেন এই কথাগুলি রাজ্য পিসিসিএফকে জানানো হয়েছে৷ এদিকে হাতি ক্যাম্পে এর দায়িত্বে থাকা রক্ষণা বেক্ষণকারীরা জানান, বিগত ১০-১৫ দিন যাবত এই ক্যাম্পে পানীয় জলের পাশাপাশি খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে৷ বনদপ্তর এর নির্দেশিকা অনুসারে হাতি গুলোকে ক্যাম্পের মধ্যে রেখেই খাদ্যসহ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে৷ রক্ষণাবেক্ষণকারীরা আরো জানান, ক্যাম্পের মধ্যে হাতিদের জন্য যে পুকুর কেটে জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেই পুকুরের জল নোংরা ও পানীয় অযোগ্য হয়ে যাওয়াতে হাতিগুলি যেতে চায় না৷ বিগত দিনগুলিতে হাতির রক্ষণাবেক্ষণকারীরা তথা মাহুথদার মুঙ্গিয়াকামি পাহাড়ের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে হাতিগুলোকে খাবারের ব্যবস্থা করত৷ কিন্তু বনদপ্তর এর নির্দেশিকা অনুসারে হাতিগুলোকে ক্যাম্পের মধ্যে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলে হাতিগুলি পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবে ভুগছে৷ আর হাতিগুলিকে যদি পায়ের শিকল খুলে খাবারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তবে রক্ষণাবেক্ষণকারীদে উপর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হুঁশিয়ারি দেন এস ডি এফ ও সাবির কান্তি দাস৷ এদিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা রয়েছে তাদের মধ্যেও পানীয় জল এবং খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান৷ তারা আরো জানান, হাতির রক্ষণাবেক্ষণের কাজের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ৷ ফলে তাদের সংসার প্রতিপালনের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ক্ষুধার্ত হাতিগুলি যে কোন সময় হামলে পড়তে পারে রক্ষণাবেক্ষণকারীদে ওপর৷ সোমবার হাতি ক্যাম্প খাবার না পেয়ে হাতি কিশোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা হেলপারের উপরে হামলা চালায়৷ যদিও তার চতুরতার কারণে অল্পেতে প্রাণে বাঁচল সে৷ যদিও সোমবার গাড়ি করে কিছুটা জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ যেকোনো সময়ই রক্ষণা-বেক্ষণকারীদের উপর হামলে পড়তে পারে ক্ষুধার্ত হাতিগুলি৷ তবে এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সমস্যা সমাধানের জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *