“এক পেড় মা কে নাম” উদ্যোগে দিল্লিতে ৭০ লক্ষ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা: মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা

নয়াদিল্লি, ৯ জুন: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘এক পেড় মা কে নাম ২.০’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানিয়েছেন যে এই মৌসুমে দিল্লি সরকার ৭০ লক্ষেরও বেশি গাছ রোপণের লক্ষ্য স্থির করেছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আনন্দিত যে দিল্লির প্রতিটি বিভাগ এবং বিদ্যালয় এই অভিযানের দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছে। আমরা প্রত্যেক নাগরিক এবং সামাজিক সংগঠনকে অনুরোধ করছি যেন তারা ‘প্রকৃতি মাতা ও ধরিত্রী মা’-এর নামে অন্তত একটি করে গাছ রোপণ করেন। এর মাধ্যমে আমরা দিল্লিকে সবুজ করে তুলতে চাই।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে দিল্লির পরিবেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটানোর আশা করা হচ্ছে। তিনি শালিমার বাগ এলাকার একটি সরকারি স্কুলে তাঁর মায়ের স্মৃতিতে একটি “সিন্দুর” গাছ রোপণ করেন। এক্স-এ পোস্ট করে তিনি লেখেন, “আজ আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বারা চালু করা ‘এক পেড় মা কে নাম’ অভিযানের অধীনে আমার মাতার সম্মানে একটি সিন্দুর গাছ রোপণ করেছি। এই গাছের ফুল থেকে প্রস্তুত সিন্দুর ভারতীয় নারীদের বীরত্ব, সম্মান ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।”

তিনি আরও বলেন, “এই গাছ শুধু পরিবেশ রক্ষার প্রতীক হবে না, বরং ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর বীরগাথা এবং দিল্লিকে সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও সহানুভূতির প্রতীক করে তোলার সংকল্পের স্মারক হয়ে থাকবে।”

রেখা গুপ্তা জানান, “আজকের ভারত এক নতুন পরিবেশ-সচেতন যুগে প্রবেশ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযান আমাদের সংবেদনশীল এবং টেকসই উন্নয়নশীল দেশের মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে। আমাদের সংকল্প—দিল্লিকে শুধুমাত্র রাজধানী নয়, বরং একটি সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও মানবিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা। এর জন্যই এই বছর ৭০ লক্ষ চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও সবুজ দিল্লি নিশ্চিত করা যায়।”

এই অনুষ্ঠানে দিল্লির মন্ত্রী আশীষ সুদও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, এই অনুষ্ঠানে দিল্লির প্রাক্তন আম আদমি পার্টি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী সরকার এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের নাম থাকা যেকোনো প্রকল্পের সঙ্গে বরাবর সমস্যা ছিল। তারা আয়ুষ্মান ভারত, বয় বন্দন যোজনা, আরোগ্য মন্দির, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এমনকি ‘একটি গাছ মা-এর নামে’-এর মতো সমাজিক অভিযানেরও বিরোধিতা করেছিল।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “প্রকৃতি, মাতৃভূমি, এবং মা-এর নামে একটি গাছ লাগানো—এই সুন্দর কাজেও কী কষ্ট ছিল তাঁদের? ভালো কাজ করতে তাঁদের কোনো আগ্রহ ছিল না।”

এই মন্তব্যের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির নতুন সরকারের পরিবেশ সচেতনতা এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *