আগরতলা, ৮ মে : আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যখন ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে এক প্রকার যুদ্ধের আবহ তৈরি হচ্ছে, সেই মুহূর্তেই ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস নামক দূরপাল্লার এক ট্রেন থেকে উদ্ধার ৮টি পিস্তল সহ ১৬টি খালি ম্যাগজিন। দুটি বেনামী ব্যাগ থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলিকে উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ।
আরপিএফের এসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট বি কে সিনহা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি দূরপাল্লার ট্রেনে বদরপুর থেকে আগরতলা পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়। সেই অনুযায়ী ফিরোজপুর থেকে যখন ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগরতলার দিকে আসছিল তখন আরপিএফ এর দুই জওয়ান বদরপুর থেকে ট্রেনটি চেকিং করার জন্য উঠে যথারীতি তল্লাশি শুরু করে।
তল্লাশি চলাকালীন ট্রেনটি আগরতলা আসলে দুটি বেনামী ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশ সহ আরপিএফ আধিকারিকদের।
ব্যাগ দুটিকে জব্দ করে দেখা যায় একটি ব্যাগে ৪টি পিস্তল ও ৮টি খালি ম্যাগজিন ছিল, অপর ব্যাগেও একইরকমভাবে ৪টি পিস্তল ও ৮টি খালি ম্যাগজিন ছিল। তবে এই পিস্তলগুলির সঙ্গে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। রেল পুলিশ একটি নির্দিষ্ট মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
একদিকে যখন পেহেলগাঁওয়ে হামলার জেরে গোটা দেশ উত্তাল, তখন মাঝরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ – এর মাধ্যমে শক্রদেশকে কড়া জবাব দিল ভারতীয় সেনা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক জঙ্গিদের ডেরা। তবে সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাতেও কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে পাকিস্তানি সীমান্ত এলাকাগুলির দিকে নজর থাকলেও উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলোও যথেষ্ট স্পর্শকাতর। ফলে যুদ্ধ আবহে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধারের ঘটনায় সীমান্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। ভারত পাকিস্তানের এই হামলায় পড়শী দেশ বাংলাদেশের অবস্থান নিয়েও দেখা দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। তার মধ্যে এতো গুলো আগ্নেয়াস্ত্র কি কারণে রাজ্যে প্রবেশ করানো হল, এর সঙ্গে করা জড়িত, তাও চিন্তার বিষয়। যদি এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলির সঙ্গে কোনো ধরনের জঙ্গি যোগ থাকে তবে এটি যথেষ্ট চিন্তার বিষয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
জিআরপি পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে এই পিস্তলগুলির সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে কতটুকু সমর্থ হয়, সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।