আগরতলা, ১৭ নভেম্বর : রাজধানীর আখাউড়া রোডস্থিত এক বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পশ্চিম থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। বাড়ির মালিক রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আখউড়া রোড স্থিত রতন চৌধুরীর বাড়ি থেকে এক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের নাম শুভাগত চক্রবর্তী ওরফে (অভিজিৎ)। তাঁর বাড়ি রেন্টার্স কলোনি এলাকায়। আর্থিক লেনদেন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মৃতের আত্মীয় পরিজনরা। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি বিষয়ে আলোচনা করতে শনিবার রাতে রতন চৌধুরীর বাড়িতে আসেন অভিজিৎ। রাতে আর বাড়ি না ফিরে সেখানেই থেকে যান তিনি। সকালে এক বন্ধ ঘর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতের পরিবারের দাবি, আর্থিক লেনদেনের বিষয়কে ভিত্তি করেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এটা আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে রাজি নয় তাঁরা। কাজ শেষে রাতে তাঁকে রতন চৌধুরীর বাড়িতে রাখা হল কেন, এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
এদিকে মৃতের সহকর্মীরা জানান, কাল দুপুরের পর থেকে অভিজিৎকে ফোন করলে অন্য কোনো ব্যক্তি ফোন ধরছিলেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি কে ছিল এ নিয়ে কোনো ধারণা নেই তাঁদের।
বাড়ির মালিক রতন চৌধুরী বলেন, পাশাপাশি দুই ঘরে ঘুমিয়েছিলেন তাঁরা। সকালে উঠে তিনি দেখেন অভিজিতের ঘর ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তাই তিনি একে আত্মহত্যা হিসেবেই মনে করছেন। তিনি আরো জানান, মৃতের সাথে তাঁর একটি জমির বিষয়ে আর্থিক লেনদেন এর সম্পর্ক ছিল। কাল রাতে এই বিষয়েই আলোচনা করতে এসেছিলেন অভিজিৎ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে রতন চৌধুরীর বাড়ির দোতলায় অভিজিতের ঘর ভেতর থেকে বন্ধ ছিল বলে পেয়েছেন তাঁরা। এরপর দরজা ভেঙে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। উপস্থিত সকলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুলিশ এই রহস্য মৃত্যুর তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে মৃতের পরিবার ও সহকর্মীরা অভিজিতের মৃত্যুর ন্যায় বিচার দাবি করেছেন। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও এটি হত্যা বলেই ধরে নিয়েছেন তাঁরা। বাড়ির মালিক রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।