নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মে:
দিন দিন উন্নয়নের লক্ষ্যে পৃথিবীর গাছপালার সংখ্যা কমছে। ফলে তীব্র গরম আর দাবদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে জনজীবন এক প্রকার বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। এরই প্রতিবাদে সরব হল যুব প্রেরণা সংগঠন।
নির্বিচারে বৃক্ষছেদন ও বনাঞ্চল ধ্বংসের তীব্র প্রতিবাদ জানায় এই সংগঠন। তৎসঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সুপরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের দাবী জানিয়েছেন তারা।
সাম্প্রতিককালে প্রতি বছরই গ্রীষ্মকালে মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ছে এবং অসহনীয় তাপপ্রবাহ দেখা দিচ্ছে। কালবৈশাখী বা গরমের সময় মাঝে মাঝে যে ঝড় বৃষ্টি হত তা এখন প্রায় হচ্ছেই না, ফলে গ্রীষ্মের দাবদাহ দীর্ঘতর ও তীব্রতর হচ্ছে। গোটা রাজ্যের বৃষ্টি হলেও কিছুদিন আগেই লক্ষ্য করা গেছে শহর আগরতলায় বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও ছিল না। বনাঞ্চল ধ্বংস এবং বৃক্ষরোপণের অভাবে এই অবস্থা হয়েছে বলে দাবি সংগঠনের।

নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের পরিমানও কমছে। এতে বায়ুমণ্ডলে ও সমুদ্রের জলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বাড়ছে সমুদ্রের বাড়তি তাপমাত্রায় সমুদ্রে থাকা কোরাল দ্বীপপুঞ্জ (যা মোট কার্বন ডাইঅক্সাইড-অক্সিজেন আদান প্রদানের ৫০% করে থাকে) মারা যাচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বিশেষ কারণ।
পাশাপাশি কলকারখানা, গাড়ির ধোঁয়া, রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি থেকে নির্গত গ্রীন হাউস গ্যাস পৃথিবী থেকে আগত সূর্যতাপকে বায়ুমণ্ডলে ধরে রাখছে। ফলে বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাস্তবে শতাব্দী প্রাচীন গাছগুলিকে বাঁচিয়ে এবং সেই সাথে রাস্তার দু-ধারে ব্যাপক পরিমাণে বৃক্ষরোপণের পরিপূরক সড়ক উন্নয়নের সরকারী পরিকল্পনার যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমান পরিবেশ সমস্যা ও ভবিষ্যৎ সংকট থেকে রেহাই পেতে গেলে নির্বিচারে বৃক্ষছেদন বন্ধ ও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টিই একমাত্র বিকল্প বলে সংগঠন মনে করে।
যুবপ্রেরণা সংগঠন তাই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না করার কঠোর জন্য সরকারী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ বাঁচানোর দাবীতে নির্বিচারে বৃক্ষছেদনের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে শক্তিশালী পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানায়।. এবিষয়ে তারা ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেছে।