নয়াদিল্লি, ৭ মে (হি.স.) : ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পাওয়া যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা যাবে বলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করল এসএসসি। কী ভাবে তা সম্ভব, তা-ও তারা জানাল। তবে, শুনানীতে শীর্ষ আদালতের তিরস্কারের মুখে পড়ে এসএসসি।
সুপ্রিম কোর্টকে তারা বলল, ‘‘সিবিআইয়ের তথ্যের উপর ভরসা করা গেলে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করা সম্ভব। আমাদের সার্ভার থেকে যে সব ওএমআর তথ্য মিলছে না, সেগুলিও আলাদা করতে পারব।’’
প্রধান বিচারপতি বলেন, এসএসসি দায়িত্ববানের মতো কাজ করেনি। যে কেউ এসএসসির অফিসে ঢুকে যাচ্ছেন। আর এসএসসি তা জানে না। এটা কী করে হয়? আপনারা ‘নাইসা’-কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আর সেই ‘নাইসা’ অন্য এক সংস্থাকে নিয়ে আপনাদের অফিসে ঢুকে গেল! অদ্ভুত ব্যাপার, সেটা আপনারা জানলেনও না। এটা কী ভাবে হয়? কালকে যে কেউ আমার অফিসে ঢুকে পড়বে, আর আমি জানতে পারব না। এটা কি আদৌ হতে পারে?
প্রধান বিচারপতি বললেন, ‘‘এত সব গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য অন্য সংস্থার হাতে তুলে দিলেন আপনারা। এটা কি আপনাদের দায়িত্বশীল কাজ? আপনাদের অফিসে স্ক্যান করতে যাচ্ছে। আর আপনারা কিছু জানেন না! এটা কি হতে পারে? সুপ্রিম কোর্টের স্ক্যানিং রুমে কেউ গেলে আদালতের কর্মীরা তা জানবেন না, এটা তো হতে পারে না। আপনাদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছিল সব তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার।’’
আদালতের এই মন্তব্যে এসএসসি জানায়, ‘‘সিবিআই নাইসার সার্ভার থেকে ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ পেয়েছে।’’ জবাবে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘‘সেটা তো আরও খারাপ। আপনাদের ডাটা বাইরের কোনও সংস্থা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এখানে তো দেখা যাচ্ছে বর মাপে নিরাপত্তা লঙ্ঘন করা হয়েছে!’’