হুগলি, ২৩ এপ্রিল (হি. স.): প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ শ্রীরামপুরের তৃনমূল প্রার্থী কল্যাণ ব্যানার্জির। এমনই অভিযোগ করেছেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বসু।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট ২৩ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে। এই নিয়ে বরিষ্ঠ আইনজীবী তথা শ্রীরামপুর লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত হয়ে যাবে। আমি ৪৩ বছর ধরে ওকালতি করছি, আমি জানি যে হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি এও বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগে ব্রিফকেস নিয়ে পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়াতেন। অভিজিৎ বাবুর যখন ৫৬, ৫৭ বছর বয়স, তখন বৃদ্ধ বয়সে হাইকোর্টের বিচারপতি হয়েছিলেন। যে আইনজীবীর ভালো পসার তিনি ৫০ বছর বয়সে বিচারপতি হন না। এই বয়সে শুধুমাত্র সেই আইনজীবীরাই বিচারপতি হন, যারা কিছুই জানেন না, করতে পারেন না। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো লোকেরা বৃদ্ধ বয়সে তাঁবেদারি করে বিচারপতি হয়ে যান, যাতে সারাজীবন পেনশন পেয়ে কাটাতে পারেন।
প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন আপত্তিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী তথা শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বসু। মঙ্গলবার তিনি হিন্দুস্থান সমাচার-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তিনি বার কাউন্সিলের কাছে কল্যাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছেন। কবীর বলেন, একজন প্রাক্তন বিচারপতি সম্পর্কে আরেকজন প্রবীণ আইনজীবীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়। কল্যাণ ধারাবাহিকভাবে অভিজিৎ বাবুকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে যাচ্ছেন। কল্যাণ অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেছেন এবং এখনও করছেন। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার উচিত বিষয়টি দেখা এবং কল্যাণ ব্যানার্জির এমন আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।