দুর্গাপুর, ১৬ মার্চ (হি. স.) : লোকসভা ভোট ঘোষনার আগে অন্ডালের সিঁদুলি এলাকায় আবারও আগ্নেয়াস্ত্র ধরা পড়ল এক যুবক। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম নন্দদুলাল সাউ। পাণ্ডবেশ্বর থানা অন্তর্গত হরিপুর বাজার কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে একটি দেশী পাইপগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনায় জানা গেছে, নির্বাচনের আগে খনি অঞ্চলে কড়া নিরাপত্তা ব্যাবস্থা শুরু করেছে। তার জন্য মোবাইল টহল ও নাকা চেকিংয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে কমিশনারেট পুলিশ। শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ অন্ডাল থানার সিদুলি এলাকায় পুলিশের রুটিন টহল চলছিল। ওইসময় সন্দেহজনক ওই যুবককে আটক করে তল্লাশী শুরু করে। তল্লাশী চালাতেই তার কাছ থেকে একটি দেশী পাইপ গান ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। তারপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই নিয়ে এসেছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
শনিবার ধৃত যুবককে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন খারিজ করে দেন। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অন্ডালের বাঁকোলা এলাকা থেকে প্রমোদ পাশওয়ান নামে এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। পর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির আসানসোল সাংগঠিনক জেলার মুখপাত্র জিতেন চট্টোপাধ্যায় জানান,” অতীতে নজির রয়েছে, রাজ্য পঞ্চায়েত ভোট, পুরসভা ভোট বিধাসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত লোকজন রিগিং সন্ত্রাস করেছে। লোকসভা ভোটেও একইরকমভাবে সন্ত্রাস চালাবে তৃণমূল। তাই এখন থেকে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে। আমরা নির্বাচন ঘোষনার পরই কমিশনের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাবো। বে আইনী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানাচ্ছি।” যদিও তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, বিজেপি বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে এলাকার মানুষের মধ্যে ভিতি সঞ্চার করে।” পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। কোথা থেকে কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছে, কি উদ্দেশ্যে রেখেছিল, তার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।