BRAKING NEWS

ছত্তীসগড়ের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ কুণাল-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার

কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : প্রথম থেকে সন্দেশখালির ঘটনাবলী নিয়ে সরব বিজেপি। এবার ছত্তীসগড়ের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এ নিয়ে চিঠি দিয়েছেন মমতাকে। তা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের মুখ্যপাত্র কুণাল ঘোষ, সাংসদ সাকেত গোখলে এবং নেত্রী সুস্মিতা দেব। বিষ্ণুদেওকে কুণালের কটাক্ষ, ‘‘আপনি নিজের চরকায় তেল দিন!’’

কুণাল ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনি নিজের চড়কায় তেল দিন! আপনি সন্দেশখালির বিষয়ে কী জানেন? মানুষ ভাল রয়েছেন, সুখে রয়েছেন।’’ কুণাল জানিয়েছেন, কোনও কোনও ব্যক্তি অন্যায় কাজ করেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই সাধারণ মানুষের। ‘‘সংবেদনশীল সরকার পদক্ষেপ করছে। জমি ফেরত দিচ্ছে। যেটা বাম জমানায় ভাবা যেত না। মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। সন্দেশখালি শান্ত।’’

এরপর পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ তুলেছেন কুণাল। তাঁর কথায়, ‘‘আপনাদের দলের নেতা শুভেন্দু আদিবাসী কন্যা বীরবাহা হাঁসদাকে ‘জুতোর নীচে থাকে’ বলেন। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা বলুন। দল থেকে তাড়ানোর কথা বলুন।’’ কুণাল এও জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, অসমে দলিত, মহিলারা নির্যাতিত। দিল্লিতে কৃষকদের উপর দমন-পীড়ন চলছে। বিষ্ণুদেওকে কুণালের পরামর্শ, ‘‘শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পরেই চিঠি লেখার নাটক করুন।’’

তৃণমূল সাংসদ সাকেত বিষ্ণুদেওয়ের উদ্দেশে বলেন, ‘‘লোকজন এখনও জানেন না, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী কে। তিনি নিজেই নিজের কাজ বোঝার চেষ্টা করছেন।’’ ছত্তীসগঢ়ে জনজাতি মহিলা, নাবালিকার গণধর্ষণের চারটি উদাহরণও তুলে ধরেছেন তিনি। অন্য দিকে, সুস্মিতা বলেন, ‘‘এক জন জনজাতি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত যে, আপনার নিজের রাজ্যে জনজাতি মহিলা, বিশেষত নাবালিকারা গণধর্ষিত। আর আপনার এত স্পর্ধা যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন!’’

প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আবার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। সেখানে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ওই মহিলাদের হেনস্থা করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *