অভিজিৎ রায় চৌধুরী,
নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি: নতুন সংসদ ভবনে তার প্রথম বক্তৃতায়, ভারতের রাষ্ট্রপতি “আজাদি কা অমৃত কাল” চলাকালীন “বিকশিত ভারত” এর উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন। উত্তর-পূর্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘটনা হ্রাস এবং স্থায়ী শান্তির দিকে বিভিন্ন সংস্থার পদক্ষেপগুলি তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিজ বক্তব্যে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি “কর্তব্য পথ”-এ স্থাপন করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে রাম মন্দির নির্মাণ ও ৩৭০ ধারা অপসারণ সহ গত এক দশকে কৃতিত্বগুলির কথা বলে তিনি। পাশাপাশি ‘তিন তালাকের’ বিরুদ্ধে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি এদিন।
তিনি বলেন, সুশাসন এবং স্বচ্ছতা মৌলিক নীতিতে পরিণত হয়েছে বর্তমানে, যা বড় অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে পরিচালিত হচ্ছে। “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস” মন্ত্র দ্বারা পরিচালিত সরকার সমাজের প্রতিটি অংশের জনগণকে ন্যায্য সুযোগ প্রদানের জন্য নিবেদিত।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, সাধারণ বিভাগের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের জন্য সংরক্ষণের সুবিধাগুলি প্রসারিত করা হয়েছে এবং মেডিকেল কোর্সে ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করা হয়েছে।
ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, এবং বাবা সাহেব আম্বেদকরকে সম্মান জানানোর প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে পঞ্চতীর্থ হিসাবে পাঁচটি স্থানের উন্নয়ন। এছাড়াও, সারাদেশে উপজাতীয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিবেদিত দশটি জাদুঘর নির্মাণের কাজ চলছে বলে এদিন নিজ বক্তব্যে উল্লেখ্য করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।