কলকাতা, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.): মর্মান্তিক ঘটনা ঘটন নারায়ণপুরের এক বহুতল আবাসনে। ফ্ল্যাটের ভিতর স্ত্রী-মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে, পাশে ঝুলছে স্বামীর দেহ! স্থানীয় বাসিন্দারা তা টের পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্বামী-স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। শরীরে প্রচুর আঘাত পাওয়া মেয়ের চিকিৎসা চলছে এক বেসরকারি হাসপাতালে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থাও গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তাদের অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর মেয়ের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ওই ব্যক্তি। তার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার দুপুর নাগাদ বিধাননগর এলাকার নারায়ণপুরের এক আবাসন ঘিরে ছড়ায় শোরগোল। ‘হ্যাভলক’ আবাসনের এক ফ্ল্যাট থেকে রক্তাক্ত ও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামী-স্ত্রীর দেহ। স্থানীয়রাই প্রথমে বিষয়টি পুলিশকে জানান। নারায়ণপুর থানা থেকে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি স্ত্রী রূপার গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে খুন করে, মেয়ের উপরও হামলা চালান। তার পর আত্মঘাতী হয়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবাসনের থেকে নিচতলায় ঘরের মধ্যে থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পাশে পড়ে ছিলেন মেয়ে। তিনি জীবিত রয়েছেন, বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি তাঁকে চিনার পার্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে স্ত্রী এবং কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন সাগর। স্ত্রীকে মারতে পারলেও কন্যাকে মারতে পারেননি। তাঁদের বাড়ি থেকে ব্লেড, দড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরের স্ত্রীর গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। কিশোরীর গলাতেও আঘাত রয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুখী পরিবার হিসেবেই তাঁরা মুখোপাধ্যায় দম্পতিকে দেখেছেন। কী কারণে হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে কোনও ধারণাই করতে পারছেন না তাঁরা। ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে হ্যাভলক আবাসনে।