কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.): অবৈধ দোকান উচ্ছেদ নিয়ে শনিবার বেলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল নিউ টাউন। এ দিন নিউ টাউনের ঝিলপাড় এলাকায় অবৈধ দোকান সরানোর অভিযানে নেমেছিল রাজ্যের আবাসন দফতরের অধীনস্ত সংস্থা ‘হিডকো’।
বুলডোজার নিয়ে দোকানঘর ভাঙা শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দোকানদারেরা। তাঁদের বক্তব্য, এই সব দোকান থেকে রুজিরুটি চলে সবার। তাই এগুলি ভেঙে দিলে তাঁদের অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে প্রশাসনকে।
স্থানীয়দের দাবি, আগে পুনর্বাসন দিতে হবে, তার পর দোকান ভাঙা যাবে। আর উচ্ছেদকারীদের জবাব, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে, কিন্তু তার আগে দোকান ভেঙে এলাকা পরিষ্কার করা দরকার। ওই এলাকায় পানীয় জলের পাইপলাইন বসবে। কেউ কারও কথা মানতে নারাজ হওয়ায় বাদানুবাদ থেকে হাতাহাতিতে জড়ায় দুপক্ষ।
‘হিডকো’র তরফে বলা হয়, তাদের কর্মীরা দোকানদারদের বাধার মুখে পড়ে। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভকারীরা কর্মীদের মারধর করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। পাল্টা অভিযোগে দোকানদারেরা জানান, তাঁদেরই মারধর করেছেন ‘হিডকো’র কর্মীরা। এই দোকানঘর উচ্ছেদ কর্মসূচির প্রতিবাদে রাস্তায় আবর্জনা জড়়ো করে আগুন জ্বালিয়ে দেন দোকানদারেরা।
নিউ টাউনের তারুলিয়া ও ঝিলপাড়ে মোট প্রায় ১৫০ অস্থায়ী দোকান রয়েছে। আগেই এনকেডিএ-র পক্ষ থেকে তাদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল উচ্ছেদের জন্য। তাতে উল্লেখ করা ছিল যে শনিবার উচ্ছেদ অভিযান চলবে। কিন্তু নোটিসে পুনর্বাসন নিয়ে কিছু বলা ছিল না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তাঁদের একাংশের বক্তব্য, আগাম না-জানিয়েই এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ‘হিডকো’। ‘হিডকো’ সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয় যে,বেআইনি দখলদার হঠাতে গেলে কোন জানানোর কোনও আইন নেই। তা সত্বেও উচ্ছেদ অভিযানের ব্যাপারে এলাকায় নিয়মিত মাইকে প্রচার করা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ টাউনের ওই এলাকায় রয়েছে একাধিক সংস্থার অফিস। মূলত অফিসকর্মীদের জন্যই চলে অস্থায়ী ওই দোকানগুলি। শনিবার দুপুরে গোলমালের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউ টাউন থানার পুলিশ। পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।