BRAKING NEWS

ঘন ঘন লোডশেডিং, করিমগঞ্জে প্রতিবাদী কর্মসূচি কংগ্রেসের


করিমগঞ্জ (অসম), ৩১ আগস্ট (হি.স.) : ঘন ঘন লোডশেডিং। বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে করিমগঞ্জে নাজেহাল জনজীবন। কোনও ঝড়, বৃষ্টি ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং, তার ওপর লো ভল্টেজের সমস্যা। দিনে-রাতে সমানতালে বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ায় উদ্বিগ্ন শহর সহ গ্রামাঞ্চলের মানুষ। দুপুর, সন্ধ্যা, গভীর রাত কিংবা ভোর, কোনও নিয়মই মানছে না বিদ্যুতের লুকোচুরি। একদিকে গ্রীষ্মের গরম, বিদ্যুতের লোডশেডিং দুয়ে মিলে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রখর খরায় বিদ্যুৎ সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এক কথায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

বৃহস্পতিবার এরই প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন জেলা কংগ্রেস, যুব কংগ্রেস, সেবা দল সহ ছাত্র সংগঠন এনএসইউআইয়ের কর্মীরা। করিমগঞ্জের বিদ্যুৎ বিভাগীয় সংমণ্ডল কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট গড়ে তুলেন দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা। এদিন প্রতিবাদী কার্যসূচি পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে উত্তাল করে তুলেন গোটা এলাকা। কংগ্রেস ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে এতে যোগ দেন স্থানীয় অনেকে।

মাইজগ্রাম-সুতারকান্দি জেলা পরিষদ সদস্যা প্রতিনিধি বজলুল হক চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংঙে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সব মিলিয়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন গ্রামাঞ্চল ও শহরের মানুষজন। তিনি বলেন, শুধু করিমগঞ্জ নয়, নিলামবাজার সাব-ডিভিশনের অধীনস্থ সবকয়টি এলাকায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি।
যুব কংগ্রেসের সন্দীপ নন্দী বলেন, করিমগঞ্জে গত দুদিনে তাপমাত্রার পারদ গত বছরের রেকর্ড ভেঙে আরও ঊর্ধ্বমুখী। প্রমণ্ড খরতাপে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তীব্র গরমের মধ্যে বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। আর সেই সময় বিদ্যুতের অনিয়মিত পরিষেবায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিদ্যুতের বিল বিভ্রাট, অতিরিক্ত মাশুল আদায়, বিকল মিটার, বিদ্যুৎ লাইন মেরামতি, ভল্টেজ সমস্যা সহ গাঁদা গাঁদা অভিযোগ থাকলেও বছরের পর বছর এগুলোর কোনও স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নেই। গ্রাহকদের অভিযোগকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ এখানে বরাবরের। যার জন্য তাঁরা আজ করিমগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন। সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন, জানিয়েছেন সন্দীপ নন্দী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *