BRAKING NEWS

৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৬৪.৪২ শতাংশ হারে

কলকাতা, ১০ জুলাই (হি.স.): পঞ্চায়েত ভোটের দিন হিংসা, অনিয়ম-সহ নানা কারণে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জেলার একাধিক বুথে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পুনর্নির্বাচন। সব মিলিয়ে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে ৬৯৬টি বুথে। রাজ্য নিবার্চন কমিশন জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার পুনর্নির্বাচনে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩০.৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল, ৩টে পর্যন্ত ভোট পড়ল ৫৩.৯৫ শতাংশ। পুনর্নির্বাচনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৬৪.৪২ শতাংশ । এখনও পর্যন্ত কোনও জেলা থেকে বড়সড় অশান্তির খবর আসেনি। বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমানে বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে।
কোন জেলার ক’টি বুথে পুনর্নির্বাচন

মুর্শিদাবাদের ১৭৫টি বুথ, মালদহের ১০৯টি বুথ, নদিয়ার ৮৯টি বুথ, কোচবিহারের ৫৩টি বুথ, উত্তর ২৪ পরগনার ৪৬টি বুথ, উত্তর দিনাজপুরের ৪২টি বুথ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬টি বুথ, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩১টি বুথ, হুগলির ২৯টি বুথ, দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৮টি বুথ, জলপাইগুড়ি এবং বীরভূমের ১৪টি করে বুথ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০টি বুথ, হাওড়া এবং বাঁকুড়ার ৮টি করে বুথ, পশ্চিম বর্ধমানের ৬টি বুথ, পুরুলিয়ার ৪টি বুথ, পূর্ব বর্ধমানের ৩টি বুথ এবং আলিপুরদুয়ারের ১টি বুথে সোমবার পুর্নির্বাচন হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে পুর্নির্বাচন হচ্ছে না।
বারুইপুরের অশান্ত বুথে মহিলাদের পাহারা
বারুইপুর পূর্বের বেগমপুর পুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ নম্বর বুথে গত শনিবার ভোট চলাকালীন অশান্তি হয়। এই বুথ থেকে ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে পুলিশ পুকুর থেকে তা তোলে। সেই বুথে সোমবার সকাল থেকে নতুন করে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মহিলা ভোটারদের সংখ্যা সেখানে চোখে পড়ার মতো। বুথটিতে শুধু গ্রামসভার ভোট হচ্ছে।

পোলিং এজেন্ট নেই, আরামবাগে থমকে গেল পুনর্নির্বাচন

আরামবাগের হিয়াতপুর এলাকার ২৬২ এবং ২৬২কে বুথে নতুন করে নির্বাচন হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে বুথের সামনে লম্বা লাইন পড়েছে। ভোট দিতে এসেছেন অনেকেই। কিন্তু এখনও ভোট শুরু করা যায়নি ওই দু’টি বুথে। কারণ বুথে কোনও দলের পোলিং এজেন্টরাই এসে পৌঁছননি। কড়া নিরাপত্তায় মুড়েছে এলাকা।
ভোটে বাধা, বিক্ষোভ বিরোধীদের
নদিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা এবং বন্দুক দেখিয়ে ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে বিজেপি এবং সিপিএম কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তেহট্ট ২ ব্লকের পলাশিপাড়া বার্নিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৪ নম্বর বুথে সোমবার সকাল থেকেই পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে। শনিবার এখানে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছিল।

বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভোট জলপাইগুড়িতে

জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি ব্লকের ১৯/২৬৬ নম্বর বুথ ও ১৮/১২১ নম্বর বুথে সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভোট দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। নিরাপত্তায় রয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও দুর্যোগের কারণে ভোট শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়। এই বুথগুলিতে শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না বলে অভিযোগ। তার জন্য ভোটারেরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
ভোটের লাইনে মৃত্যু
ভোটের লাইনে মৃত্যু হল এক ভোটারের। তেহট্টের ধোড়াদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিসা গ্রামের হালদারপাড়ার বুথে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম নবদ্বীপ হালদার (৫৫)। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ভোট দেওয়ার আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মনে করা হচ্ছে তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

গঙ্গারামপুরে সুকান্তকে ঘিরে বিক্ষোভ

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাঘবপুরের বুথে ভোটকেন্দ্র থেকে ৩০০ মিটার দূরে সুকান্তের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভে প্রায় ৪০ মিনিট আটকে থাকেন বালুরঘাটের সাংসদ। তিনি রাস্তায় বসে পড়েন। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
ময়নায় পুনর্নির্বাচনেও বোমাবাজি
পুনর্নির্বাচনেও উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। সেখানকার বাকচা এলাকায় ২২৮ নম্বর বুথের কাছে সোমবার বোমাবাজি করে এক দল দুষ্কৃতী। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগও উঠেছে। বিজেপি এই দাবি অস্বীকার করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।

বেলডাঙার পুকুর পাড়ে সকেট বোমা

মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় গুচ্ছ গুচ্ছ সকেট বোমা উদ্ধার। অভিযোগ, রবিবার রাতে অপরিচিত কয়েক জনের গতিবিধি গ্রামবাসীদের চোখে সন্দেহজনক ঠেকেছিল। রাতেই তাঁদের নজরে আসে কিছু ব্যাগ। গ্রামবাসীরা তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যাগগুলি উদ্ধার করে। দু’টি ব্যাগে ছিল মোট ৩২টি সকেট বোমা। পরে পুলিশ এলে আরও দু’টি বোমা উদ্ধার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *