BRAKING NEWS

জলপাইগুড়ির দিলীপের মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য, তদন্ত শুরু

জলপাইগুড়ি, ১৩ মার্চ (হি স)। কোচবিহারের হলদিবাড়ির দাড়িপট্টনি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ছিলেন দিলীপ বিশ্বাস (৪৬)।শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ায় তাঁর মৃত্যু ঘিরে সোমবার প্রশ্ন দানা বেঁধেছে রহস্য।ঘরের পেছনের জানালা ভেঙে দেখা যায় দিলীপ উল্টো হয়ে মশারি জড়িয়ে মেঝেয় পড়ে রয়েছে৷ তার পর রবিবার রাতে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

গ্রুপ ডি-র চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম ছিল তাঁর। ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই প্রৌঢ়ের মৃতদেহ। আদতে জলপাইগুড়ি মরিচবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দিলীপ। শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ায় ভাড়া থাকতেন তিনি। শিলিগুড়ির ভাড়াবাড়ি থেকেই দেহ পাওয়া যায় তাঁর। সোমবার পুলিশ দিলীপের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

বাড়িমালিক সন্তোষ ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘রবিবার এক জন মহিলা দিলীপের ঘরের সামনে এসে তাঁকে ডাকাডাকি করছিলেন। ওই মহিলাকে এর আগে দেখিনি আমরা। স্কুলের চাকরির পাশাপাশি দিলীপ একটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সেই নির্মাণ সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেন ওই মহিলা। তিনি ডাকাডাকি করলেও দিলীপের কোনও সাড়া মেলেনি। অবশেষে পাড়ার কাউন্সিলরকে ডাকি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ বহু বছর ধরেই দেশবন্ধুপাড়ায় থাকতেন। তিনি অবিবাহিত। দিলীপের দাদা দীনবন্ধু বিশ্বাসের দাবি, ‘‘চাকরি চলে গিয়েছে ভাইয়ের। তাই মানসিক অবসাদের কারণেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে তার।’’ দিলীপের ভাই সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, ‘‘বহু বছর ধরেই বাড়ির সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই ওর। তবে ওর চাকরি চলে গিয়েছে সেটা শুনেছি৷ হয়ত সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে। আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। ও কাকে টাকা দিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত হোক।’’

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘‘মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ওঁর পরিবারের পক্ষ থেকে যদি অভিযোগ জানানো হয় তবে অবশ্যই পুলিশ তদন্ত করবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *