বিশালগড়ে দুষৃকতিদের হামলার মুখে বাম কংগ্রেসের সংসদীয় টিম, গাড়ি ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ মার্চ৷৷ ভোট ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যে চরম সন্ত্রাসের ঘটনায় মানুষ ব্যতিব্যস্ত৷ সেই সন্ত্রাসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছে বাম এবং কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ তারা শুক্রবার বাধারঘাট এবং প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করে বিশালগড়ের উদ্দেশ্যে যায়৷  বিশালগড় গিয়ে বুধবার শপথ গ্রহণের দিন রাতের বেলা নেহাল চন্দ্রনগর এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ১৯ টি দোকান পরিদর্শনে যান সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ প্রতিনিধি দলে উপস্থিত সাংসদ আব্দুল খালেক, প্রাক্তন সংসদ অজয় কুমার, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা এবং সিপিআইএম -এর রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার সময় শাসক দলের দুর্বৃত্তরা এসে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি করে৷ সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে৷ ভাঙচুর করা হয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের একাধিক গাড়ি৷ পুলিশ এবং টি এস আর জওয়ানরা সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে কোনক্রমে প্রানে বাঁচিয়ে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে পৌছায়৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, তারা যখন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছিল সে সময় শাসক দলের দুর্বৃত্তরা এসে তাদের বাধা দেয়৷ তাদের সাথে তিন গাড়ি এসকট থাকার পরেও কোন ভূমিকা নেয়নি৷ টি এস আর জওয়ানরা জানিয়ে দেন উপর থেকে নির্দেশ না পেলে তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না৷ এভাবে প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুললেন তিনি৷ কিন্তু এই ঘটনা যে পরিকল্পিত সে তো তিনি এক প্রকার ভাবে স্পষ্ট করে দিলেন৷ কারণ সর্বভারতীয় নেতৃত্ব প্রত্যেকটি ঘটনা পার্লামেন্টে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে ত্রিপুরার সন্ত্রাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছে৷ তাতেই শাসকদলের মধ্যে ভূকম্পন শুরু হয়ে যায়৷ তারা বুঝতে পেরেছে পার্লামেন্টে বিরোধী সংসদীয় প্রতিনিধি এই বিষয়গুলি তুলে ধরলে বিজেপির ওজনদার নেতাদের জবাবদিহি হতে হবে৷ তাই এ ধরনের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সংগঠিত করেছে বলে মনে করছে বাম ও কংগ্রেসের সংসদীয় দল৷ এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে তীব্র নিন্দা ঝড় বইছে৷