আগরতলা, ৭ মার্চ : ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সরকারের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার সদস্য বাছাইয়ে চূড়ান্ত রূপ দিতে আজ বিকেলেই এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাঁরা আগরতলায় এসেই সোজা রাজ্য অতিথিশালায় চলে যান এবং সেখানে বৈঠকে বসেছেন। বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামীকাল বিজেপি জোট সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তাই, আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি এসেছেন। আগামীকালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীও থাকবেন। এদিন বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, প্রদেশ বিজেপি প্রভারী ড. মহেশ শর্মা, নির্বাচন প্রভারী মহেন্দ্র সিং, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর সম্বিত পাত্র সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে ডা: মানিক সাহা নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ওইদিন বৈঠকে প্রথমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা নবনির্বাচিত বিধায়িকা প্রতিমা ভৌমিক পরিষদীয় নেতা হিসেবে ডা: মানিক সাহার নাম প্রস্তাব করেন। তারপর বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া এবং রতন লাল নাথ তাঁর নাম প্রস্তাব করেন। সর্বসম্মতিক্রমেই ডা: মানিক বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। বৈঠকে শেষে বিজেপি রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য-র কাছে সরকার গঠনের দাবি পেশ করেছে।
আগামীকাল নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের বাছাই করা হবে। তাতে, কিছু নতুন মুখ আসবে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে, অর্থমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে জট দেখা দিয়েছে। 2018 সালে বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী এবং জিষ্ণু দেববর্মা উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার ডা: মানিক সাহা পুণরায় মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। কিন্তু, জিষ্ণু দেববর্মা পরাজিত হওয়ায় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ বন্টন নিয়ে জোট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি অর্থ দফতরের দায়িত্বেও ছিলেন। তাই, অর্থমন্ত্রী কে হবে, বিজেপি সেই চিন্তায় পড়েছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। ফলে, তাঁকে হেভিওয়েট দফতর দেওয়া না হলে বিষয়টি কতটা শুভনীয় হবে, সেই চিন্তাও বিজেপি-কে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। তিনি অবশ্য দলের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন। এক্ষেত্রে দলের দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে। সূত্রের দাবি, যাবতীয় জট কাটাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের একদিন পূর্বেই ত্রিপুরায় এসেছেন। বিজেপি প্রদেশ সভাপতি জানিয়েছেন, তাঁরা ত্রিপুরায় মন্ত্রিসভার সদস্য বাছাই নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা করবেন। তবে, সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিজেপির তরফে মন্ত্রিসভায় কাঁদের ঠাই দেওয়া হচ্ছে, সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।