/কালিয়াচক থেকে ১২ কোটির ব্রাউন সুগার সহ ধৃত এক, পলাতক মূল অভিযুক্ত

কালিয়াচক থেকে ১২ কোটির ব্রাউন সুগার সহ ধৃত এক, পলাতক মূল অভিযুক্ত

কালিয়াচক, ২৯ জানুয়ারি (হি.স.) : ফের মালদা জেলা থেকে উদ্ধার প্রচুর পরিমানে ব্রাউন সুগার। রবিবার ভোররাতে অভিযান ১১ কেজি ৫৯০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। যার আনুমানিক বাজার মূল্যও কয়েক কোটি টাকা বলে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় এক মাদক কারবারি। যদিও মূল অভিযুক্ত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে । তবে তার নাগাল পেতে তৎপর পুলিশ । এদিন দুপুরে ধৃতকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতের নাম সতীশ মন্ডল। তার বাড়ি মালদা জেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রামে। তার বাড়ি থেকে ১১ কেজি ৫৯০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিশ রবিবার ভোররাতে একটি অভিযান চালায় রামনগর গ্রামে। সূত্র মারফৎ পুলিশ জানতে পারে ওই গ্রামের বাসিন্দা চৈতন্য মণ্ডল ও তার বাবা সতীশ মন্ডল দুজনে দীর্ঘদিন ধরে ব্রাউন সুগারের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল। ভিন রাজ্য থেকে সংগ্রহ করে এলাকায় খুচরো ও পাইকারি ভাবে বিক্রি করতো দুইজনে। পুলিশ জানতে পারে সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগার চৈতন্য মণ্ডল বাড়িতে মজুত করে রেখেছে। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ছুটে যায় ওই এলাকায়। চৈতন্য মন্ডলের বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় চৈতন্য মন্ডল। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তার বাবা সতীশ মন্ডল। চৈতন্য মন্ডলের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তার শোবার ঘর থেকে ১১ কেজি ৫৯০ গ্রাম উন্নত মানের ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়। তারপরেই সতীশ মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগারের বর্তমান বাজারদর ১২ কোটি টাকার ওপরে। ধৃত সতীশ মন্ডলকে এদিন মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। অপরদিকে পলাতক চৈতন্য মণ্ডলের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এদিন দুপুরে ধৃতকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয় । আদালত ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।

মালদা জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, সতীশের বাড়ি থেকে মোট ১১ কেজি ৫৯০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। সতীশ মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগার গুলি কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং কোথায় বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই কারবারের পিছনে কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।

TAGS: