দুর্গাপুর, ১৬ ডিসেম্বর (হি. স.) : দুর্গাপুরের নিখোঁজ যুবকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার তিন সহপাঠীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম রবি মূর্তি, আনন্দ পাসওয়ান ও কৃষ্ণা বাদ্যকর। তাদের বাড়ি বেনাচিতি তালতলা বস্তি এলাকায়। শুক্রবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের সি-জোন এলাকায় রাহুল পাসওয়ান (২২) নামে এক যুবকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার বাড়ি বেনাচিতি তালতলা বস্তি এলাকায়। মৃত যুবক রাহুল একাধিক চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল। চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল সে। তার বন্ধুরা পরিবারের লোকজনকে সন্ধান দেয় ওই এলাকার সিএমইআরআই কলোনি যাওয়ার রাস্তায় তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। সেই মত পরিবারের লোকজন পুলিশে নিখোঁজের অভিযোগ জানান। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন ওই এলাকায় প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে খোজাখুঁজি করছিল। এদিন সকালে ওই রাস্তার পাশে জঙ্গলের ভেতরে তার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মৃতের বাবা বিনোদ পাসওয়ান বলেন,” আমাদের অনুমান ছেলে’কে কেউ খুন করে ফেলে দিয়েছে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিবারের লোকজনের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তল্লাশি শুরু করে । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে রবি মূর্তি, আনন্দ পাসওয়ান ও কৃষ্ণা বাদ্যকর তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের বাড়ি বেনাচিতি তালতলা বস্তি এলাকায়। রাহুল সহ ওই অভিযুক্ত সঙ্গীরা দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। সেই নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের। শুক্রবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।