কলকাতা, ১৩ নভেম্বর (হি.স.) : অবশেষে আনন্দপুরে শিশুর মৃত্যুর রহস্যভেদ। সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বাবা। মৃত খুদের দিদিমার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দেহ কবর থেকে তুলে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। এরপরই একে একে খুলতে থাকে রহস্যের জট। শনিবার রাতে তিলতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত ।
মৃত খুদের নাম রোহন মণ্ডল। তার মা সোনি মণ্ডল খাতুন। বাবা বিজয় মণ্ডল। আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। দিন কয়েক আগে মৃত খুদের দিদিমা নাতির মৃত্যুর নেপথ্যে জামাইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দেহ কবর থেকে তুলে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। এরপরই একে একে খুলতে থাকে রহস্যের জট। এদিকে ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই বেপাত্তা ছিল বাবা-মা। শনিবার রাতে তিলতলা এলাকা থেকে বিজয় মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, টানা জেরায় অপরাধ স্বীকার করে নেয় বিজয়।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৬ নভেম্বর সন্ধেয় বাড়িতে বসে মদ্যপান করছিলেন। সেই সময় তিনবছরের ছেলে রোহন বারবার বাথরুমে যেতে চাইছিল। তাতেই বিরক্ত হয় বিজয়। প্রথমে সজোরে ছেলেকে একটা চড় মারে। এরপর দেওয়ালে ঠুকে দেয় মাথা। ছেলেকে আঘাত করার পর সম্বিত ফেরে বিজয়ের। তড়িঘড়ি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তিনি। চিকিৎসক খুদেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর মাথা ঠাণ্ডা রেখে দম্পতি ছেলের দেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর জলের বালতিতে পড়ে মৃত্যুর গল্প তৈরি করে। প্রতিবেশীদের সেটাই জানায়। প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন, ছেলে বাথরুমে জলের বালতিতে পড়ে গিয়েছিল। তাতেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, মৃত্যু হয়েছে রোহনের। এরপর ছেলের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে দম্পতি। রাতে গোবরা হিন্দু সমাধিস্থানে দেহটি কবর দেওয়া হয়। এরপর গা ঢাকা দেয় দম্পতি।