BRAKING NEWS

কৈলাসহরের এডিসি ভিলেজের সিঙিরবিল ইংলিশ মিডিয়াম হাইস্কুলে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ

আগরতলা, ৯ মে: রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কৈলাসহরের চন্ডিপুর ব্লকের সিঙিরবিল এডিসি ভিলেজের সিঙিরবিল ইংলিশ মিডিয়াম হাইস্কুলে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ও দুর্নীতি কায়েম হয়েছে। বিশেষ করে স্কুলের সকাল ও দুপুর শাখায় মিড ডে মিলের বালাহার নিয়ে চলছে দুর্নীতি। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সূয্যমনি সিনহার কথানুযায়ী স্কুলের দুই শাখায় ছাএছাত্রী সংখ্যা সকালে ১১৪জন ও দুপুরে ১৫০জন। 

কিন্তু স্কুলের জনৈক অভিবাভকের অভিযোগ, কোনদিনও সব ছাএছাত্রী স্কুলে উপস্থিত হয়না।অথচ পুরো সংখ্যা উপস্থিত থাকে দেখিয়ে সব মিড ডে মিল সামগ্রী তোলা হয়। অথচ উপস্থিত থাকে প্রতি দিনড অধ্যেকের কম।এছাড়া যে ঘরটি মিডডে মিল খাবার জন্য তৈরি করা হয়েছে।সেই ঘরের বারান্দায় বসে ছাএদের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।মিড ডে মিল রুমে প্রধান শিক্ষক চাইছে ক্লাস রুমকরতে।এই উদ্যোগ চলছে।

এদিকে প্রতি মাসে ২৬৪জন ছাত্রের মিড ডে মিল সামগ্রী তুলে ১০০জনকে মিড ডে মিল খায়ানো হয়।বাদ বাকি সামগ্রী বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয় প্রতি মাসে।এই অভিযোগ করেন এলাকার অভিভাবকরা। এছাড়া স্কুলের খেলার মাঠের মাঝ বরাবর ইট বসিয়ে মাঠটিকে ছাএদের খেলার অনুপযোগী করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

এখন ছাএদের খেলাধুলা করতে অসুবিধা হচ্ছে।যদি না প্রধান শিক্ষক অনুমতি না দিতেন তবে মাঠে ইট বিছানো হত না। স্কুলে২৬০জনের মতছাএছাএ রয়েছে। শিক্ষক আছেন দশ জন।গত মার্চ মাসে সকাল শাখার মিড ডে মিলের ইনচার্জ বদলি হয়ে চলে যান।তার পরিবর্তে আজ ও কাউকে সকালে র ইনচার্জ পদে দায়িত্ব বসানো হয় নি। সরকার রাজে্্যর প্রতি টি ব্লকে একজন করে বিদ্যালয় পরিদশক বসিয়েছেন। কিন্তু চন্ডিপুর ব্লকে যিনিআছেন তিনি নামকয়াসে আছেন।কোন দায়িত্ব পালন করেন না।

 ইনচার্জ তথা প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিন যাবত বদলিহীন ভাবে কর্মরত থাকার ফলে চরম নৈরাজ্যকর অবস্থা ও দুর্নীতি জাঁকিয়ে বসেছে।জানা যায় আইএস সব কিছু জেনে ও নীরব দর্শক। স্কুলের এস .এম.সি.কমিটির মেয়াদহীন।মেয়াদহীন কমিটি এখন ও  স্কুলের দেখভালকরে ন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা স্কুল উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়ে আসে। ভূয়া ভাউচারে সেই টাকা হাফিজ করে দেওয়া হয়। স্কুলে ১৯শে জানুয়ারী ও ভাষা দিবস পালন করা হয় না। 

এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিভাবকরা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *