BRAKING NEWS

ডিএ মামলা: হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার

কলকাতা, ৪ নভেম্বর (হি. স.) : মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার হাই কোর্টে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে সে কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী। রাজ্যের দাবি, আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। সূত্রের খবর, সোমবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হতে পারে।

কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের সঙ্গে সমান হারে ডিএ দিতে হবে। ঠিক এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। বেশ কিছুদিন ধরে আদালতে মামলাও চলছিল ওই বিষয়টি নিয়ে। শেষে চলতি বছরের মে মাস নাগাদ কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্য সরকারের তরফে আদালতের নির্দেশ মেনে চলার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ সরকারী কর্মচারী সংগঠনগুলির নেতৃত্বের। আর ওই অভিযোগ তুলে এরপর আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ৩১ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া সম্ভব নয়।

আর এজন্যই হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয় নবান্নের তরফে। কিন্তু আদালত জানিয়ে দেয় সেই পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা সম্ভব নয়। বকেয়া ডিএ মেটাতেই হবে। এবার হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলির তরফে আগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ফলে রাজ্যের মামলা দায়ের হলে তাঁরাও শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির লড়াই দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে অতীতেও মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না দেওয়ায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *