BRAKING NEWS

প্ৰধানমন্ত্ৰীর দেশজুড়ে শুভারম্ভ ‘রোজগার মেলা’র, গুয়াহাটিতে ২১২ যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্ৰ প্ৰদান কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী সৰ্বানন্দের

গুয়াহাটি, ২২ অক্টোবর (হি.স.) : রেলওয়ে সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের শূন্যপদ পূরণের উদ্দেশ্যে আজ ২২ অক্টোবর দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ‘রোজগার মেলা’র সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক স্থানে নবনিযুক্তদের উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের নতুন নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান। ‘রোজগার মেলা’র অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌ-পরিবহণ ও জলপথ এবং আয়ুষ দফতরের মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল আজ গুয়াহাটির রেলওয়ে রং ভবন কালচারাল হল-এ নবনির্বাচিত ২১২ জন যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।

আজকের অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগে ৬০, রেলওয়েতে ৪৮, প্ৰতিরক্ষায় ১, ব্যাংকে ২৫, শ্ৰম ও নিয়োগ দফতরে ৫, গৃহ (সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ) দফতরে ৪২, অর্থ বিভাগে ৩১ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী সর্বানন্দ সনোয়াল দেশের যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী নেতৃত্বের অধীনে মেক-ইন ইন্ডিয়া এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে দেশ এক নতুন উচ্চতা অতিক্রম করেছে।

ভাষণ দিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়েকে গুয়াহাটিতে এমন একটি বৃহৎ অনুষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

গুয়াহাটিতি রোজগার মেলায় গুয়াহাটির সাংসদ কুইন ওজা, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ভবেশ কলিতা, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পদস্থ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নবনিযুক্ত সুবিধাপ্রাপকরা এমন এক বিশাল অনুষ্ঠানে নিয়োগপত্র লাভ করে আনন্দ প্রকাশ করেন। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করার জন্য এবং তাঁদের নির্ধারিত কর্তব্যের মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ প্রদানের জন্য তাঁরা সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

একাধিক সরকারি পদক্ষেপ উদ্যোক্তা ও স্বনিয়োজনের জন্য ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে। ভারতের গুরুত্ব পরিকাঠামো ও যোগাযোগের উপর, দেশের উপর যা বহুগুণ প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়া ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্মার্টসিটি মিশন, এএমআরইউটি, সকলের জন্য বাসস্থান, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোরগুলি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ১২ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। প্রথম দফায় দেশজুড়ে ৭৫,০০০ নবনিযুক্ত প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা ভারত সরকারের অধীনে ৩৮টি মন্ত্রক/বিভাগে যোগাদানের জন্য প্রস্তুত। যুবসমাজের জন্য চাকরির সুযোগ প্রদান ও দেশের নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *