BRAKING NEWS

Sushanta Chowdhury:কুমার শচীন দেববর্মণ ছিলেন সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী

আগরতলা, ১ অক্টোবর : সুর সম্রাট ও কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী কুমার শচীন দেববর্মণ ছিলেন সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক। তিনি ছিলেন একাধারে সুরকার, গীতিকার, বাংলা ও হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও সুরকার। তাঁর কম্পোজিশান ও নির্দেশনায় লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, মহঃ রফি, গীতা দত্তের মত প্রখ্যাত শিল্পীগণ গান গেয়েছেন। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন হল প্রাঙ্গণে আয়োজিত সুর সম্রাট কুমার শচীন দেববর্মণের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথাগুলো বলেন।

প্রদীপ জ্বেলে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী ও অন্যান্য অতিথিগন সর্বপ্রথমে শিল্পী শচীন দেববর্মণের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। উদ্বোধকের ভাষণে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কুমার শচীন দেববর্মণের জন্ম, শিক্ষা ও কর্মজীবন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে বলেন, সংগীত জগতে তিনি যে সৃষ্টি করে গেছেন তা অমর হয়ে আছে। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি চলচ্চিত্র জগতের পীঠস্থান হলো মুম্বাই। বর্তমান বাংলাদেশের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর শচীন দেববর্মণ কলকাতায় চলে যান। চল্লিশের দশকে মুম্বাই পাড়ি দেন। বাবা নবদ্বীপ চন্দ্র দেববর্মণের কাছে প্রথমে সংগীত শিক্ষা নিলেও পরবর্তী সময় দেশের খ্যাতনামা সংগীত শিল্পীদের কাছে গান শেখেন।

তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, সংগীত এমন একটা জিনিস যা মানুষকে ভাবতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায় ও বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করে। রাজ্য সরকার চায় সকল জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অব কালচারাল কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান কমল দে বলেন, কুমার শচীন দেববর্মণ আমাদের গর্ব। পৃথিবীর বহু লোক তাঁকে শ্রদ্ধা করেন।

তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, শিল্পী শচীন দেববর্মণ বাংলা ও হিন্দি ১০০টি ছবিতে কম্পোজিশান করেছেন। ১৯৭৪ সালে ‘অভিমান’ সিনেমার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন। অনুষ্ঠানে সচিব শ্রী চক্রবর্তী শচীন দেববর্মণের একটি গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস ছাড়াও বহু শিল্পী, লেখক ও গুণীজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১০০টি সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ শচীন দেববর্মণের সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *