নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৪ সেপ্টেম্বর : অবৈধভাবে জমায়েত, পুলিশের কাজে বাধাদান, পুলিশের সঙ্গে অশালীন আচরণ এবং আক্রমণের অভিযোগে যুব কংগ্রেস সভাপতি রাখু দাস সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ৷ মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে বিশ্রামগঞ্জ থানার লকআপে রাখা হয়৷ জানা যায় এদিন পুলিশের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে জমায়েত করে বিশ্রামগঞ্জ বাজারে মিছিল সংগঠিত করে কংগ্রেস৷
এরপর সন্ধ্যায় বিজেপি পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের হয়৷ তখন কংগ্রেস কর্মীরা বিশ্রামগঞ্জ বাজারের কংগ্রেস নেতা দুলাল ঘোষের বিল্ডিং এ মিটিং করছিল৷ বিজেপির মিছিলকে লক্ষ্য করে ছাদের উপর থেকে ঠান্ডা পানীয়ের কাচের বোতল ইট পাটকেল দিয়ে ঢিল দিতে থাকে৷ মুহূর্তের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ কংগ্রেস কর্মীদের ঢিলে পথচারী পর্যন্ত আহত হয়৷ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়৷ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ৷ বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাস পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ পুলিশ গিয়ে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ বিজেপির কর্মীরা যে যার মত করে সরে যান৷ কিন্তু যুব কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু করে দেন৷
এমনকি ছাদের উপর থেকে ছোড়া ঢিলে পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন৷ কর্তব্যরত পুলিশের উপর লোহা জাতীয় সামগ্রী দিয়ে আক্রমণ করা হয়৷ পুলিশ বারবার বলছিলেন আপনারা চলে যান৷ কিন্তু রাখু দাস উল্টো পুলিশকে ধমকাতে থাকেন৷ এরপরে রাতেই বিশ্রামগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর শ্রীকান্ত চক্রবর্তী মামলা গ্রহণ করেন যুব কংগ্রেস নেতা সহ চারজনের বিরুদ্ধে৷ মামলা নম্বর ৬২/২০২২৷ তাদের বিরুদ্ধে আইপিসির ১৪৭ /১৪৮/১৪৯ / ৩৫৮ /৩৩৩/৩২৭ ধারায় মামলা গ্রহণ করে পুলিশ৷ রাতেই আটক করা হয় প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি রাখু দাস, বিশ্রামগঞ্জের কংগ্রেস নেতা দুলাল ঘোষ, যুব কংগ্রেস নেতা হৃদয় দাস, বিট্রু দাসকে৷ বুধবার দুপুরে ধৃতদের বিশালগড় মহকুমা আদালতে সোপর্দ করা হয়৷
আগরতলা থেকে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী হরেকৃষ্ণ ভৌমিকের নেতৃত্বে একঝাক আইনজীবী আসামিপক্ষের হয়ে জামিনের জন্য সওয়াল করেন৷ সরকার পক্ষে মামলাটি লড়েছেন আইনজীবী গৌতম গিরি৷ উভয় পক্ষের শোনানীর পর আদালত অভিযুক্ত চারজনকে ছয় দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ আপাতত ছয় দিন তাদের থাকতে হবে প্রভুরামপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে৷ সরকারি আইনজীবী গৌতম গিরি জানান ৬ দিন পর কেইস ডায়েরি সহ তাদের পুনরায় আদালতে তোলা হবে৷