হাফলং (অসম), ৩১ আগস্ট (হি.স.) : হাফলং পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি জানিয়েছে ডিমা হাসাও তৃণমূল কংগ্রেস। দু-বছর আগেই ১২৫-তম সংবিধান সংশোধন করে হাফলং টাউন কমিটিকে পুরসভায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু হাফলং টাউন কমিটি থেকে হাফলং পুরসভা হওয়ার দু-বছর অতিক্রম হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এই লোকাল বোর্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, অভিযোগ তুলেছেন ডিমা হাসাও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আচিং জেমি।
এই ভিত্তিতে আচিং জেমির নেতৃত্বে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল দিশপুর সচিবালয়ে রাজ্য সরকারের হাউজিং ও আরবান অ্যাফেয়ার্স বিভাগের কমিশনার সেক্রেটারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক স্মারকলিপি তুলে দিয়ে অবিলম্বে হাফলং পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি জানিয়েছেন। আচিং জেমির অভিযোগ, দীর্ঘ দু-বছর থেকে হাফলং পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা ১৮ মাস থেকে তাঁদের ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
দীর্ঘ ১৮ মাস থেকে বেতন না পেয়ে কর্মচারীদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে বলে জানিয়ে আচিং জেমি বলেন, বিগত দু-বছর থেকে হাফলং পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আচিং জেমির অভিযোগ, বর্তমানে হাফলং পুরসভা যিনি চালাচ্ছেন তাঁর নাম হাফলং পুরসভার অধীনে ভোটার তালিকায় নেই।
আচিং জেমি জানিয়েছেন, এদিন ডিমা হাসাও জেলার পূর্ত সড়ক ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অধীনে নির্মিত সড়কগুলির বেহাল অবস্থা নিয়ে রাজ্যের লোকনির্মাণ বিভাগের স্পেশাল কমিশনার ও স্পেশাল সেক্রেটারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পাহাড়ি এই জেলার পূর্ত সড়কগুলির বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এক স্মারকলিপিও তুলে দেন লোক নির্মাণ বিভাগের স্পেশাল কমিশনার ও স্পেশাল সেক্রেটারির হাতে।
আচিং জেমির অভিযোগ, আগে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা না থাকার সময় সড়ক নির্মাণ করা হলে এই সড়ক দশ বিশ বছরেও নষ্ট হত না। কিন্তু বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার বলে কোনও সড়ক নির্মাণ করা হলে ওই সড়ক ছয়মাস ভালো অবস্থায় থাকে না। ছয়মাসেই ওই সব রাস্তা ভেঙে চৌচির হয়ে যায়। বর্তমানে ডিমা হাসাও জেলায় এ ধরনের বহু পূর্ত সড়ক ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অধীনে নির্মিত হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যেই ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উত্থাপন করেন ডিমা হাসাও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আচিং জেমি।