BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় পর্যটনকেন্দ্রগুলির আকর্ষণ বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : পর্যটন মন্ত্রী

আগরতলা, ১০ আগস্ট (হি. স.) : রাজ্যের ঐতিহাসিক, আধ্যাত্মিক ও প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্রগুলির আকর্ষণ বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি আধুনিক ব্যবস্থারও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পর্যটন দপ্তরের তথ্য ও প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার একটি পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। আজ গীতাঞ্জলি পর্যটন আবাসে পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় পর্যটন দপ্তরে নবরূপে উন্নীত অনলাইন বুকিং পোর্টালের উদ্বোধন করে একথা বলেন।

উল্লেখ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের উদ্যোগে আই-লগিট্রন টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড এই পোর্টাল উন্নীতকরণে কাজ করেছে। নব উন্নীত এই পোর্টালে দপ্তরের বিভিন্ন লজ, যাত্রীনিবাস, পান্থনিবাসগুলি সহজেই পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকেই বুক করা যাবে। পোর্টালে পর্যটন আবাসের রুমগুলির অবস্থা, পরিষেবা, রুমের উপলব্ধতা সহ আরও অনেক বিষয় পর্যটকরা ঘরে বসেই জানতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, বিগত সরকারের আমলেও অনলাইন বুকিং ব্যবস্থা চালু ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এ ব্যবস্থারও আধুনিকরণের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেই নতুন বৈশিষ্টপূর্ণ এই পোর্টালের উদ্বোধন করা হয়। তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। আর্কেওলোজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি ঐতিহাসিক স্থাপত্যের মধ্যে ত্রিপুরায় ৮টি রয়েছে। এদিক দিয়ে বিবেচনা করলে রাজ্যে পর্যটন শিল্পের এখনো প্রভূত বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২ বছর করোনা অতিমারির জন্য পর্যটন সহ বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন উদ্যমে রাজ্যকে উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে নিয়ে চলছে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনস্থল, ইকোপার্কগুলিতে লগ হাট নির্মাণ করা হয়েছে। ডম্বুরের নারকেলকুঞ্জে এমনই ২৩টি লগ হাট নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, নারকেলকুঞ্জে পর্যটকদের আশা যাওয়ার সুবিধার্থে ইতিমধ্যে হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এছাড়াও মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের উন্নয়নের কাজ আগামী ১ বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। পুষ্পবন্ত প্রাসাদকে দেশের অন্যতম মিউজিয়ামে পরিণত করা হবে। এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ত্রিপুরা রাজ্য অচিরেই সারা দেশের মধ্যে পর্যটনবান্ধব রাজ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *