BRAKING NEWS

Abhishek Banerjee : ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয় নিয়ে এখনই ভবিষ্যদ্বাণী নয়, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ অভিষেকের

গুয়াহাটি, ১১ মে (হি.স.) : ত্রিপুরায় ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে আপাতত জয় নিয়ে নিশ্চিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনই এ-বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবেন না, সাফ জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে অবশ্য সংগঠন কতটা শক্তিশালী হবে, তার ভিত্তিতে আগাম অনুমান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে কৌশল নিলেন তিনি। তবে অসমে সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য বিজেপি-কে নিশানা করতে কোনও কসুর করেননি অভিষেক। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিন্ন মত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ দিয়েছেন। গুয়াহাটিতে আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই পূর্বোত্তরে তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধির জোরালো দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার দোষারোপ করছে। অথচ, সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফ মোতায়েন রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিএসএফ-কে সহযোগিতা করছে না, প্রমাণ দিক কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করুক। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর সমস্যা নিমিষেই মিটে যাবে।

অভিষেক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সোজা নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম সম্পর্কে ভিন্ন মত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ দিয়েছেন। রাজনীতির নামে বিজেপি জুমলা ব্যবহার করছে। তাঁর কথায়, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকরে ৩-৪ মাস যথেষ্ট ছিল। কিন্তু আড়াই বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন কার্যকর করতে পারছে না। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার এখন পর্যন্ত সিএএ কার্যকরে ছয়বার সময়সীমা বাড়িয়েছে। কিন্তু এখনও রুলস তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর সাফ কথা, তৃণমূল কংগ্রেস এই আইনের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে তাতে এখনও অনড়।
অভিষেকের কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গে কোভিড মিটলে নাগরিকত্ব সংশোধনী কার্যকরের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অথচ, অসমে এই আইন কার্যকর নিয়ে চুপ। তাঁর দাবি, যাঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করেছেন, তাঁরা অবৈধ হলে তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও অবৈধ বলে ঘোষণা হোক। তিনি বলেন, এনআরসি-র নামে ১,৬০০ কোটি টাকা খরচ করে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তাতে অসমের ১৯ লক্ষ নাগরিকের নাম বাদ পড়েছে। এমন-কি, অসমের প্রকৃত নাগরিকের নামও ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী ওই তালিকা পুনঃবিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন শুধুমাত্র বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ার, তৃণমূল কংগ্রেস তার অংশীদার হবে না।

এদিন তিনি বলেন, পূর্বোত্তরের বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল সংগঠন বিস্তারে মনোনিবেশ করেছে। ত্রিপুরা ও মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবে দল। তবে, ত্রিপুরায় নির্বাচনে জয় নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না অভিষেক। তিনি বলেন, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে জয় সম্পর্কে এখনই ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাই যথেষ্ট বলে মনে করছে তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *