হাফলং (অসম) ১৫ এপ্রিল (হি.স.) : নতুন বছরের শুরুতেই ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে ডিমা হাসাও জেলা। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ধস নেমে বন্ধ হয়ে পড়েছে শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর মহাসড়ক। পাহাড়ে অবস্থিত কয়েকটি বাড়ির ভিটের নীচ থেকে মাটি খসে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে গাৰ্ডওয়াল। ফলে কিছু সংখ্যক বাড়িঘর বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে শূন্যে।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রচণ্ড ঝড়ের তাণ্ডবে জেলা সদর হাফলং শহর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানে বাড়িঘরের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি জেলার গ্রামাঞ্চলে ঝড়ের দরুন অনেকের বাড়িঘরের চাল উড়ে যায়। সমগ্র জেলায় ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ পরিষেবা গতকাল থেকে আজ শুক্রবার এই খবর লেখা পর্যন্ত বিপর্যস্ত। সমগ্র হাফলং শহর বৃহস্পতিবার রাত থেকে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে।
কেবল তা-ই নয়, বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরের দেওয়াল খসে পড়েছে। ধস নেমে পূর্তসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা জেলা। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের জাটিঙ্গা ও এন লেইকুলের এস কার্ভ। পাহাড় থেকে বৃষ্টির জল ও পাথর-মাটি নেমে আসায় বন্ধ হয়ে পড়েছে মহাসড়ক। রাস্তার দুপাশে বেশকিছু যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে পড়েছে। এতে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বৃস্পতিবার থেকে ধস-বিধ্বস্ত এন লেইকুলে লামডিং থেকে হাফলং অভিমুখী একটি বাস ফেঁসে রযেছে।
অভিযোগ, প্রাকৃতিক দুর্য়োগের কবলে পড়ে ধস নেমে সড়ক বন্ধ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কোনও আধিকারিক বা জেলা দুর্যোগ প্রশমন বিভাগের কোনও কর্তা ওই স্থানে উপস্থিত হননি। তাছাড়া ওই সড়ককে সচল করে তুলতে এখন পর্যন্ত জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজে হাত দেয়নি, অভিযোগ তুলেছেন সেখানে আবদ্ধ যাত্রীরা। এই খবর লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে বহু যানবহন আবদ্ধ হয়ে রযেছে।