উধারবন্দ (অসম), ৪ এপ্রিল (হি.স.) : গতকাল রবিবার সকালে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দি থানাধীন সোনাখিরা থেকে গুয়াহাটি থেকে আগত ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)-র চারজনের একটি দল নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সাথে জড়িত অভিযোগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জোড়া দম্পতি রাজু ওরাং এবং তার স্ত্রী পিঙ্কি ওরাংকে আটক করেছিল। পাশাপাশি এনআইএ-র দল কাছা্ড় জেলার অন্তর্গত উদারবন্দ থানাধীন পাতিছড়া চা বাগান এলাকা থেকে আটক করেছে শুকাছড়ার বাসিন্দা মনোজ ওরাং নামের সন্দেহজনক আরও এক মাওবাদীকে।
আজ সকালে উধারবন্দ থানায় মনোজ ওরাংকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএর দল। প্ৰায় ২ ঘণ্টা জেরা করে মনোজ ওরাংকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অসমের বিভিন্ন চা বাগানে মাওবাদীরা বিস্তার লাভ করেছে এক গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত মাসখানেক থেকে অভিযান চালিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে উধারবন্দ থানাধীন জয়পুর এলাকার পাতিছড়া চা বাগান থেকে মাওবাদী নেতা কাঞ্চনদা ওরফে অরুণকুমার ভট্টাচার্য এবং কালাইন থেকে আকাশ ওরাংকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেরিয়ে আসছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য। কাঞ্চনদাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন চা বাগানে মাও-বিরোধী অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। এদিকে ডিব্ৰুগড় জেলার একটি চা বাগান থেকে রিমা ওরাং ওরফে সরস্বতী নামের এক মহিলাকেও গ্রেফতার করেছে এনআইএ।
সিপিআই (মাও)-এর কেন্দ্রীয় কিমিটির সক্রিয় সদস্য কাঞ্চনদা, আকাশ এবং সরস্বতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, বরাক উপত্যকার বিভিন্ন চা বাগানে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন মাওবাদীদের বহু সদস্য রয়েছে। আজ ধৃত মনোজ ওরাঙের ঘরে নিয়মিত আনাগোনা ছিল কাঞ্চনদা এবং আকাশের। সেই সূত্রে মনোজকে আটক করেছিল এনআইএ।