গুয়াহাটি, ২২ মার্চ (হি.স.) : আজকের দিনে অসমে প্রত্যেক নবজাতক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ কর্তৃক বিধানসভায় তুলে ধরা এক তথ্যে এই বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। রাজ্যে বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ ২৩ হাজার ৬১১ টাকা। রাজ্য সরকারের মোট ঋণের বোঝা হল ৮২,৭৪১ কোটি টাকা। বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের তারা বিহীন ২৩৩ নম্বর এক প্রশ্নের জবাবে আজ মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে এই তথ্য তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ।
রাজ্যের অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল কর্তৃক গত ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ বিধানসভায় এই তথ্য তুলে ধরেছেন। গত মাসে এবং বিগত আট মাসে রাজ্য সরকার কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে, এবং কত খরচ করেছে? বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ লিখিত ভাবে জানান, রাজ্য সরকার এ সব অর্থ বছর হিসাবে রাখে। যেহেতু ২০২১-২২ অর্থ বছর এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি, তাই এই হিসাব এখন দেওয়া সম্ভব নয়। ২০২১-২২ অর্থ বছরের রাজস্ব আদায় ও খরচের হিসাব রাজ্যের অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলের কাছ থেকে পাওয়ার পরই প্রকৃত তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ।
বিধায়ক কমলাক্ষের অন্য আরেকটি প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছর এখনও শেষ হয়নি। তাই রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে মোট কত টাকা ঋণ নিয়েছে, অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলের কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব নয়। করোনা অতিমারির দরুন রাজ্যের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্মার্টফোন বিতরণের জন্য বাজেটে অর্থ ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু বাজেটে ঘোষণা করার পরও অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোন দেওয়া হল না কেন? কমলাক্ষের এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ লিখিত ভাবে জানান, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে পাঠদান প্রক্রিয়া যথারীতি চলছে। তাই এই প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
সরকার কর্তৃক আনটাইড ফান্ড সহ বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের অর্থ কেন মঞ্জুর করা হচ্ছে না? কমলাক্ষের লিখিত এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মঙ্গলবার বিধানসভায় জানান, আনটাইড ফান্ডের অর্থ বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক মঞ্জুর হয় না। এই তহবিল প্রকল্প অনুসারে মঞ্জুর করা হয়ে থাকে। বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থ বছরে আবণ্টিত সম্পূ্ৰ্ণ এক কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।