BRAKING NEWS

রাজ্যের ৪৫.৭৩ শতাংশ বাড়িতে ইতিমধ্যেই টেপের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে : পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী

আগরতলা, ১৭ মার্চ : রাজ্যের ৪৫.৭৩ শতাংশ বাড়িতে ইতিমধ্যেই টেপের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয়জল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মিশনমুডে কাজ করছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ, আয়রণ রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট এবং উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ্যপূরণের কাজ এগিয়ে চলেছে। আজ বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্দ্ধে বিধায়ক পরিমল দেববর্মা আনীত বেসরকারি প্রস্তাবের উপর আলোচনা করতে গিয়ে একথা বলেন পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

 উল্লেখ্য, বিধায়ক পরিমল দেববর্মা কর্তৃক উত্থাপিত বেসরকারি প্রস্তাবটি হল ‘‘রাজ্যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয়জলের সংযোগহীন বসতি এলাকায় প্রতিটি পরিবারে ‘জল জীবন মিশন’ কর্মসূচি অনুযায়ী প্রকল্পের নির্ধারিত সময়কালের মধ্যে পাইপ লাইন দ্বারা পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ত্রিপুরা সরকারের পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তর আরও সক্রিয়তার সঙ্গে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করুক”।

বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম হল দেশের প্রতিটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়া। দেশের ১৯ কোটি ৩১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮২৩টি বাড়ির মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯ কোটি ২২ লক্ষ ১ হাজার ৫৬২টি বাড়িতে পানীয়জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষ কোটি টাকা। আলোচনা করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের পূর্বে রাজ্যের কেবলমাত্র প্রায় ৩ শতাংশ বাড়িতে পানীয়জলের সংযোগ ছিল। আজ আমাদের রাজ্যের ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৫২টি বাড়ির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৬৯টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ৮,৭২৩টি পাড়ার মধ্যে ১, ১৯৬টি পাড়াতে ১০০ শতাংশ পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯০৪টি পাড়াতে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ, ৯৯২টি পাড়াতে পানীয়জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ মিশনমুডে চলছে। খুব শীঘ্রই বাকি পাড়াগুলিতেও কাজ শুরু হবে। 

বিধানসভায় পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ১, ১৭৮টি গ্রামপঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটির মধ্যে ৩০টিতে ১০০ শতাংশ পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে ১৫৭টি গ্রামপঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটির মধ্যে। বাকিগুলিতে জোরকদমে কাজ চলছে। তিনি জানান, এই কর্মসূচিতে ধলাই জেলা ও রাজ্যের পাহাড়ী অঞ্চলগুলিকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এইসব অঞ্চলে জলের উৎস সৃষ্টির জন্য বর্তমানে রাজ্য সরকারের কাছে ১০০টির বেশী হাইপাওয়ার রিগ মেশিন রয়েছে। নতুন প্রযুক্তিতে আয়রণ রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট স্থাপনে জোর দেওয়া হচ্ছে।

 তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সরকার নির্ধারিত এই কর্মসূচির কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন হবে। তাছাড়াও এই বেসরকারি প্রস্তাবের উপর এছাড়াও আলোচনা করেন বিধায়ক রঞ্জিত দাস ও বিধায়ক শঙ্কর রায়। পরে প্রস্তাবটি সভা কর্তৃক গৃহিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *