BRAKING NEWS

আর স্কুলে তালা নয়, বরং কোভিড বিধি মেনে চলুক পঠন পাঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৯ জানুয়ারি ।। কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ এর কামড় সহ্য করে কোমড় সোজা করে দাঁড়ানোর সময়টাতে ফের থাবা বসিয়েছে  ওমিক্রন। এটা না-কি আরো মারাত্মক। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসছেন। রাজ্যে রাজ্যে সতর্কতা অবলম্বনের বার্তা পৌঁছে গিয়েছে।ইতিমধ্যে কিছু রাজ্যে নাইট কারফিউ জারি হয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও কলেজ।

দুশ্চিন্তার কালোমেঘ  ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের দু’চোখে। পুরোপুরি ভাবে  বিদ্যালয় গুলো বন্ধ না করে বিকল্প ভাবনায় পঠন পাঠন অব্যাহত রাখার দাবি উঠেছে। কোভিড,ওমিক্রন মোকাবিলা করে কীভাবে বিদ্যালয়গুলো স্বাভাবিক পড়াশোনা চালু রাখা  যায় সেই পথ বের করে প্রজন্মকে রক্ষা করতেই হবে। গত দুই বছরে শিক্ষা ব্যাবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ভাইরাসের বিনাশ কবে হবে কেউ জানেনা,সেই উৎপাত আমাদের সইতেই হবে। কেভিডের  দু’বছর পেরিয়ে যাচ্ছে  এখনও স্বাভাবিক হয়নি বেসরকারি এবং সরকারি  বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন। সরকারি স্কুলগুলিতে অভিভাবকদের ফি দিতে হয়না।

অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাসে ৭-৮ দিন স্কুলে গিয়ে কিম্বা অনলাইনে ক্লাস করে পুরো ফি দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এমন কি গুনতে হচ্ছে বাস ভাড়াও। স্কুলগুলিতে যথাযথ পরিসেবা না পাবার ফলে ছুটতে হচ্ছে গৃহশিক্ষকের কাছে। প্রত্যাশা ছিল নতুন বছরে  হয়তো বিপদ থেকে খানিকটা রেহাই পাওয়া যাবে। কিন্তু না, নতুন করে ওমিক্রন এর আতঙ্কে জবুথবু  অবস্থায় ঘোর  অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। গত দুই বছরে প্রতিটি ছাত্রের মেধা নিম্নমুখী। অনলাইন ক্লাসের চক্করে পড়ে  মেবাইলের প্রতি আশক্তি বাড়ছে ছাত্রছাত্রীদের। কোমলমতি, কম বয়সী ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইলের অপব্যবহার করছে। তাদের চিন্তা, চেতনা এবং মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মকভাবে কুপ্রভাব পড়ছে।


এমতাবস্থায় অভিভাবকেরা ভীত,আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত,দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সন্তানদের নিয়ে। আবার একাংশ ছাত্রছাত্রীর পরিবারে নেই স্মার্ট ফোন। স্মার্টফোন ক্রয় করা এবং ইন্টারনেট প্যাক রিচার্জ করার মতো আর্থিক সঙ্গতিও নেই অনেকের। বিদ্যালয়  বন্ধ না রেখে সরকারি  এবং বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হোক। যাতে কোভিড বিধি মেনে পঠন পাঠন অব্যাহত রাখা যায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে স্কুল কলেজের জন্য পৃথক কোভিড গাইডলাইন তৈরি করুক সরকার। অব্যাহত থাকুক সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠন পাঠন। আশঙ্কার মেঘ সরিয়ে রক্ষা করা হোক বিদ্যার্থীদের  ভবিষ্যত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *