নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর৷৷ কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া রাজ্যের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হতে পারেনা৷ তাই কৃষকদের উন্নতি দরকার৷ দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ দেশের সমস্ত ক’ষকদের রোজগার দ্বিগুণ করা৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেত’ত্বে আমরাও সেই কাজ করে যাচ্ছি৷ আজ জিরানীয়া ক’ষক বন্ধ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন ক’ষি ও ক’ষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়৷ তিনি আরও বলেন, এ রাজ্যের মাটি উর্বর৷ যদি আন্তরিকতার সঙ্গে চাষ করা যায় তাহলে যেকোন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব৷ তিনি বলেন, আগের গতানুগতিক পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে৷ আগে যেমন ক’ষক দপ্তরের কাছে এসে সাহায্য, পরামর্শ নিতোএখন তার পরিবর্তন করা হয়েছে৷ এখন দপ্তর, বি’ানীরা ক’ষকদের কাছে গিয়ে, তাদের জমিতে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন৷ ক’ষকরা তাদের জমিতে থাকছেন৷ ফলে ক’ষকদের আয় বাড়ছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় আগে ৩৬টি ক’ষি মহকুমা ছিল৷
১টি বেড়ে এখন ৩৭টি করা হয়েছে৷ এর লক্ষ্যই হল ক’ষকদের রোজগার বাড়ানো৷ আজ এই মহকুমায় ২৮তম ক’ষক বন্ধ কেন্দ্র খোলা হল৷ একে একে প্রতিটি ক’ষি মহকুমায় এইরূপ কেন্দ্র খোলা হবে বলে তিনি জানান৷ তিনি বলেন, কি চাষ করা যাবে, কোন মাটি ব্যবহার করা যাবে, কোন কোন পতঙ্গ ক’ষিকাজের জন্য উপকারী এবং ক্ষতিকর, কখন কি চাষ করা উচিৎ সব তথ্য এই ক’ষক বন্ধ কেন্দ্রে রয়েছে৷ সুুতরাং ক’ষকদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন তার সব তথ্য রয়েছে৷ এই ক’ষক বন্ধ কেন্দ্রগুলি এমন জায়গায় করা হচ্ছে যেখানে ক’ষকরা অনায়াসে আসতে পারেন৷ তার থেকে সুুবিধা, পরামর্শ, তথ্য নিয়ে তাদের কাজে ব্যবহার করতে পারেন৷ ক’ষকদের মধ্যে মতবিনিময় হবে৷ এ রাজ্যে যারা প্রক’ত ক’ষক তাদের সরকার বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করছে৷ ভর্তকী মূল্যে ক’ষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হচ্ছে৷ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুুবিধা ক’ষকরা নিচ্ছেন৷ ফলে ক’ষকদের আগের মত জমি বন্ধক বা ঋণ নিতে হচ্ছে না৷ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হচ্ছে৷ তিনি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা প্রভ’তি নিয়েও আলোচনা করেন৷
তিনি বলেন, রাজ্যের ক’ষকদের ফসল এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে৷ ফলে ক’ষকদের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
প্রধান অতিথি হিসাবে তথ্য ও সংস্ক’তি দপ্তরের মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী বলেন, ক’ষক বান্ধব এই সরকার৷ কোন অবস্থাতেই যাতে ক’ষকদের কোন অসুুবিধা না হয় তা সরকার সব সময় দেখছে৷ ক’ষক হল আমাদের অন্নদাতা, লক্ষী৷ কারণ ভারতবর্ষের অর্থনীতি হল ক’ষি নির্ভর অর্থনীতি৷ ক’ষকদের কিভাবে আত্মনির্ভর করা যায় সে দিক দিয়ে সরকার কাজ করছে৷ ক’ষকদের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে৷ কিছু দিনের মধ্যে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা শুরু হবে জিরানীয়ায়৷ আজ ক’ষকদের জমি খালি নেই৷ ক’ষকদের সঠিক সময়ে, সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক’ষি ও ক’ষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দ দাস৷ বক্তব্য রাখেন উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ফনিভূষণ জমাতিয়া৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া প’ায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, মহকুমা শাসক জীবন ক’ষ্ণ আচার্য, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জিরানীয়া ব্লকের বিডিও উৎপল চাকমা, জিরানীয়া নগরপ’ায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক’ষি দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা অনিল দেববর্মা৷ এ উপলক্ষে জিরানীয়া ক’ষি মহকুমা, পুরাতন আগরতলা, জিরানীয়া এবং বেলবাড়ি ব্লকের ৯ জন ক’ষককে মারক, উত্তরীয় এবং ৫ হাজার টাকা দিয়ে সম্মান জানান অতিথিগণ৷ তাছাড়া জিরানীয়া ও বেলবাড়ি ব্লকের ৪জন ক’ষককে ভর্তকী মূল্যে ক’ষি যন্ত্রপাতি তুলে দেন অতিথিগণ৷