টানটান উত্তেজনায় শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতির ব্যস্ততা প্রার্থীদের

কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর (হি. স.) : পুরভোটে প্রচারের মেয়াদ শেষ। ২৫ নভেম্বর ভোট ঘোষণার ক’দিন পরেই পর্যায়ক্রমে শুরু হয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা। ১ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। শুরু হয় ঝোড়ো প্রচার। দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল কী হবে, শুরু হয়েছে তা নিয়ে উৎকন্ঠা। পুরভোটের প্রাক্কালে শেষ মুহূর্তের ভাবনা ভাবতে বসেছেন প্রার্থীরা। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কার আশীর্বাদ চাইবেন? এই প্রতিবেদকের কাছে ৭৪ নং ওয়ার্ডের বাম মনোনীত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দীপা চক্রবর্তীর চটজলদি জবাব, “৭৪ নং ওয়ার্ডের সুধী নির্বাচকমণ্ডলীর।“

দীপা যদি নির্বাচকমণ্ডলীর আশীর্বাদের প্রত্যাশী, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক প্রার্থী মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “আমার ৯৩ বছরের শ্বশুরমশাইয়ের আশীর্বাদ চাইব। আর মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া আমি কোনও কাজই করি না। যদিও আমার মা ইহজগতে নেই কিন্তু আমি মাকে প্রণাম করে দিন শুরু করি।“ অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর পুত্র ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ বসু ভোটের দিনটা শুরু করতে চান “মা বাবা-র আশীর্বাদ নিয়ে।“ ভোটপ্রাপ্তির ব্যবধানের অনুমান কী? মীনাক্ষীর কথায়, “আমি এবার প্রথম রাজনৈতিক ময়দানে। আশা করব ব্যবধান আগের চেয়ে বাড়বে।“ দীপা-র কথায়, “নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসী। পুরনো হিসেব খতিয়ে দেখছি না।“

সৌরভ বসুর জবাব, “২০১৫-তে বিজেপি জিতেছিল ১১০ ভোটে। এবার আমরা ভাল ব্যবধানে জিতব।“ ভোটের আগের দিন রুটিনে কোন কাজে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন? সৌরভ জানান, “বুথে বুথে যাচ্ছি। কোনও অসুবিধে হচ্ছে কিনা, খোঁজ নিচ্ছি।“ মীনাক্ষীর জবাব, “এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ভোট কেন্দ্রে নিরুপদ্রবে সবাই ভোট দিতে পারবেন এই আশা করব।“ এই প্রতিবেদককে দীপার জবাব, “কী করে ৭৪ নং ওয়ার্ডের, ৩৮ টা বুথ রক্ষা করব। আমরা করব জয়। জয় হিন্দ।” ১০৩ ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার তথা এবারের ভোটে সিপিএম প্রার্থী নন্দিতা রায়ের প্রধান লক্ষ্য তৃণমূলের থাবা থেকে ওয়ার্ডটি রক্ষা করা। তাঁর কথায়, “যথাসাধ্য প্রস্তুতি নিয়েছি। রবিবার পরীক্ষা। এবার কে, কীরকম নম্বর দেবেন, কে জানে?“

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *