BRAKING NEWS

উত্তরপূ্র্বাঞ্চল থেকে আফসপা প্ৰত্যাহারের দাবিতে লোকসভায় অধিবেশন মুলতবি প্ৰস্তাব সাংসদ আগাথার

নয়াদিল্লি, ৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : উত্তর-পূ্র্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ার) অ্যাক্ট, ১৯৫৮; বাংলায় সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন, ১৯৫৮ (আফসপা) প্রত্যাহারের দাবিতে লোকসভা অধিবেশন স্থগিত রাখার বিজ্ঞপ্তি পেশ করেছেন মেঘালয়ের তুরা আসনের সাংসদ তথা ন্যাশনাল পিপলস পার্টি নেত্রী তথা দলের সভাপতি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার ছোট বোন আগাথা কঙ্খল সাংমা।

নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সংঘটিত ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে এই আইনের বলে সেনাবাহিনী নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে দাবি করে লোকসভার অধিবেশন মুলতবি প্ৰস্তাব পেশ করেছেন এনপিপি সাংসদ আগাথা। সংসদ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তুরার সাংসদ আগাথা নাগাল্যান্ডের মায়ানমার সীমান্ত-ঘেঁষা মন জেলার তিরু ও ওটিং গ্ৰামের মধ্যবর্তী রাস্তায় সংঘটিত সংঘর্ষে নিরীহ ১৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মন জেলায় সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্য থেকে আফসপা প্রত্যাহারের প্রয়োজন তারও ব্যাখ্যা করেছেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রয়াত পূর্ণ আজিতক সাংমার মেয়ে আগাথা সাংমা।


প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল এনপিপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড কে সাংমা এবং নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও আফসপা প্ৰত্যাহারের দাবি তুলেছেন। ট্যুইট করে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা লিখেছেন, ‘বাতিল করা উচিত আফস্পা।’ এছাড়া জাতীয় এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারেও কনরাড সাংমা বলেছেন, ‘আমি সর্বদা বলে আসছি, আফসপা একটি বিপরীতধৰ্মী এবং যে কারণে এই আইন বলবৎ করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।’

উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে গোটা মেঘালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন বা আফসপা। পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ১৬-এর মধ্যে আট থানা এলাকা থেকে বিশেষ এই ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া এই আইন এখনও নাগাল্যান্ড, মণিপুর (ইমফলের পুর পরিষদ এলাকা বাদে), অসমে বলবৎ রয়েছে। এদিকে, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্ৰী নেইফিউ রিওও সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী রিও বলেন, ‘নাগাল্যান্ড থেকে আফসপা প্রত্যাহার করতে আমি কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছি। কেননা, এই আইন দেশের ভাবমূৰ্তিতে কালো দাগ লাগিয়ে দিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *