BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পর দফতর বণ্টন, মুখ্যমন্ত্রী কমালেন বোঝা

আগরতলা, ৩১ আগস্ট (হি.স.) : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে বিজেপি দলে অস্থিরতার অবসান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার নতুন তিন মন্ত্রীর শপথ গ্রহণের পর তাঁদের দফতরও বণ্টন করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ওপর থেকে বোঝা কিছুটা কমিয়েছেন। তাঁর হাত থেকে বেশ কয়েকটি দফতর অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছেন তিনি।

আজ সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব রাজ্যপাল অনুমোদিত দফতর বণ্টনের নয়া তালিকা প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছেন স্বরাষ্ট্র দফতর (কারা, অগ্নি নির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা দফতর ছাড়া), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পূর্ত দফতর (পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান ছাড়া), শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি দফতর, সাধারণ প্রশাসন, নির্বাচন ও অন্যান্য দফতর যা অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়নি।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার দফতর পরিবর্তন করা হয়নি। তিনি বিদ্যুৎ, গ্রামোন্নয়ন, পঞ্চায়েত, অর্থ, পরিকল্পনা এবং সমন্বয়ের সাথে পরিসংখ্যান এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন। মন্ত্রী নরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মার দফতর পরিবর্তন হয়েছে। তাঁকে রাজস্ব দফতরের সাথে বন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দফতর তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। রতনলাল নাথেরও দফতর পরিবর্তন করা হয়নি। শিক্ষা এবং আইনের সাথে সংসদ বিষয়ক দফতরের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন তিনি।

প্রণজিৎ সিংহরায়ের দফতরও একই রয়েছে। তিনি কৃষি ও কৃষক কল্যাণ, পরিবহণ এবং পর্যটন দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন। মনোজকান্তি দেবের দফতর পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি খাদ্য ও জন-সংভরণ দফতরের সাথে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দফতরের বদলে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। হস্তশিল্প, উদ্যানবিদ্যা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বাদে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মেবার কুমার জমাতিয়াকে নতুন দুটি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বন দফতরের বদলে তাঁকে মৎস্য, সাথে জনজাতি কল্যাণ এবং অতিরিক্ত শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের হস্ততাঁত ও উদ্যানবিদ্যা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সান্ত্বনা চাকমাকে অনেক বড় দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দফতরটি ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে ছিল। এছাড়া তিনি সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী পদে বহাল রয়েছেন।

নতুন তিন মন্ত্রীকেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রামপ্রসাদ পাল স্বরাষ্ট্র দফতরের কারা এবং অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দফতর, পশ্চাদপদ শ্রেণি কল্যাণ, সংখ্যালঘু কল্যাণ এবং সমন্বয় দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। ভগবান দাস তফশিলি জাতি কল্যাণ, প্রাণী সম্পদ কল্যাণ এবং শ্রম দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। সুশান্ত চৌধুরী তথ্য ও সংস্কৃতি, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া এবং পূর্ত দফতরের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *