নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ আগস্ট।। ত্রিপুরায় বিধানসভা যতই এগিয়ে আসছে বিজেপিতে চাপ ও অস্বস্তি ততটাই বাড়ছে। একদিকে তৃণমূলের আস্ফালন, অন্যদিকে বিদ্রোহী শিবিরের কৌশলী চাল, উভয়ের গ্যাড়াকলে সাংগঠনিক মন্থনে ছুটে এসেছেন চার জন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে বিদ্রোহীদের রাগ মোচন, শক্ত হাতেই ব্যবস্থা করবে তাঁরা। বিজেপি রাজ্য প্রভারী সাংসদ বিনোদ সোনকর আজ সাফ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই চমক দেখবে ত্রিপুরাবাসী। অপেক্ষা শুধুই কয়েক মুহুর্তের।
আজ বিজেপি সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাইকিয়া, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক সম্পাদক সংগঠন অজয় জাম্বুয়াল, রাজ্য প্রভারী বিনোদ সোনকর এবং ত্রিপুরা ও অসমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সংগঠন ফনিন্দ্র নাথ শর্মা রাজ্যে এসেছেন। তাঁরা টানা ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন। এদিন বিমান বন্দরে দিলীপ বাবু বলেন, সংগঠনের নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিতে তিনি এসেছেন। কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।
এদিন বিজেপি রাজ্য প্রভারী বিনোদ সোনকর বলেন, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ খুব শীঘ্রই হবে। কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। সমস্ত কিছুই নির্ধারিত হয়ে রয়েছে। শুধুই ঘোষণার বাকি আছে। তিনি আজ সাফ জানিয়েছেন, ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি বদলের খবর সম্পুর্ন গুজব। রাজ্যে সভাপতি বদল হচ্ছে না এবং প্রদেশ সভাপতি ডা: মানিক সাহা পদত্যাগ করছেন না।
আজ বিনোদ সোনকর বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে নিয়ে কিছুই বলতে চাননি। তবে, যে চাপের রাজনীতি শুরু করেছেন বিদ্রোহী বিধায়করা, তার ফয়সালা করার জোর চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কারণ, বিজেপির সমস্ত বিধায়কদের সাথে আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বৈঠকে বসেছেন ওই চার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বিদ্রোহী বিধায়কদের সাথেও আলাদাভাবে কথা বলবেন তাঁরা। তাতে ধারণা করা হচ্ছে, দলের ভিতরে ও বাইরে অস্থিরতা অচিরেই কমবে।