মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ-কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাঁর মতে, যে সমস্ত বিদ্যালয়ে ফলাফলে ছাত্রছাত্রীরা ফেল নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখাচ্ছে, ওই বিদ্যালয়গুলির ফলাফল পর্যালোচনা করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তিনি মনে করেন, গত কয়েকদিনে ফলাফল নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার স্থায়ী সমাধান হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। গতকাল এবং আজ ওই ইস্যুতে রাজধানী আগরতলা উত্তপ্ত হয়েছে। আজ শিক্ষামন্ত্রী জানান, করোনার প্রকোপে এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। তাই, সিবিএসই সহ সারা দেশের বিভিন্ন বোর্ডের মূল্যায়নের পদ্ধতি মোতাবেক ত্রিপুরায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ফলাফল ঘোষণা দিয়েছে।
তাঁর কথায়, বিদ্যালয়গুলি পরীক্ষার্থীদের নম্বর পাঠিয়েছে। সেই নম্বরের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ কমিটি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেছে। পর্ষদ সে মোতাবেক ফলাফল ঘোষণা দিয়েছে। কিন্ত, এখন রাজ্যের কিছু স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ফলাফল পর্যালোচনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও যদি গলদ থাকে তাহলে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তাঁর দাবি, আমরা আন্দোলনে বিশ্বাসী নই। কারণ, ভুলত্রুটির অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় ত্রিপুরা সরকার। তাই তিনি অনুরোধ রাখেন, আন্দোলনের কোন প্রয়োজন নেই। খুব শীঘ্রই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিন তিনি জানান, আগামীকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটির সাথে বৈঠক করবে। যেখানে অসন্তোষ রয়েছে, ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে পর্ষদ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবে। তাঁর মতে, ফলাফল পর্যালোচনার সমগ্র প্রক্রিয়ায় খুব বেশি হলে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে, এরপরও যাঁরা ফলাফলে অসন্তষ্ট থাকবে, তাদের পরীক্ষায় বসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।