গুয়াহাটি, ৩১ জুলাই (হি.স.) : অসম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ (এএইচএসইসি) পরিচালিত ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান, কলা এবং বাণিজ্য শাখার চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল এক সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শনিবার ঘোষণা করেছেন সংসদ কর্তৃপক্ষ। এবার বিজ্ঞানে ৯৯.০৬, কলায় ৯৮.৯৩ এবং বাণিজ্যে ৯৯.৫৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছেন। গড় পাশের হার ৯৯ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।
কোভিড অতিমারির ভয়ংকর পরিস্থিতিতে অসমে এ বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষা নেননি এএইচএসইসি কর্তপক্ষ তথা শিক্ষা দফতর। মূল্যাংকন পদ্ধতিতে গৃহীত নম্বরের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল।
এএইচএসইসি প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর, ২০২১ শিক্ষাবৰ্ষের উচ্চ মাধ্যমিকের কলা শাখায় মোট পরীক্ষাৰ্থী ছিলেন ১,৯১,৮৫৫ জন৷ এঁদের মধ্যে প্ৰথম বিভাগে ৫৮,২৪৪, দ্বিতীয় বিভাগে ৮৯,৫২০ এবং তৃতীয় বিভাগে পাশ করেছেন ৪২,০২৯ জন ছাত্ৰছাত্ৰী। সৰ্বমোট পাশ করেছেন ১,৮৯,৭৯৩ জন। সেই হিসাবে এবার পাশের হার ৯৮.৯৩ শতাংশ।
এভাবে বিজ্ঞান শাখায় মোট পরীক্ষাৰ্থী ছিলেন ৩৮,৪৩০ জন। তাঁদের মধ্যে প্ৰথম বিভাগে পাশ করেছেন ৩২,৯১৭ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ৪,৬০৯ জন এবং তৃতীয় বিভাগে ৫৪২ জন ছাত্ৰছাত্ৰী। সর্বমোট ৩৮,০৬৮ জন পাশ করেছেন। পাশের হার ৯৯.০৬ শতাংশ।
অনুরূপভাবে বাণিজ্য শাখায় মোট পরীক্ষাৰ্থী ছিলেন ১৮,৪৪৩ জন ছাত্রছাত্রী৷ এঁদের মধ্যে প্ৰথম বিভাগে ১১,১৮৯ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ৫,৪৯৭ জন এবং তৃতীয় বিভাগে পাশ করেছেন ১,৬৭৮ জন। পাশ করেছেন সৰ্বমোট ১৮,৩৬৪ জন। পাশের হার ৯৯.৫৭ শতাংশ।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ সকাল নয়টায় অসম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের আটটি ওয়েবসাইটে একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে ফলাফল। এগুলি — www.assamresult.in; www.NeCareer.com; www.ahsec.assam.gov.in; www.assamjobalerts.com; www.schools9.com; www.results.shiksha; www.indiaResults.com এবং www.vidyavision.com
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, করোনার ভয়াবহতার পরিপ্রেোক্ষিতে বাতিল করা হয়েছিল চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা। যে সকল ছাত্রছাত্রী অনলাইনে পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণ করেছিলেন উন্নীত করতে মূল্যাংকন পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিল শিক্ষা সংসদ। ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার নীতি নির্ধারণ করতে গত ১৯ জুন দুটি কমিটি গঠন করেছিল সরকার। এগুলির একটি মাধ্যমিক ও হাইমাদ্রাসা (ম্যাট্রিক বা দশম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা) এবং অন্যটি হায়ার সেকেন্ডারি (দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা)-র পরীক্ষার্থীদের জন্য। একেকটি কমিটিতে নয় (৯) জন করে সদস্য নিয়োগ করা হয়েছিল।
দুই কমিটিকে কিছু নিয়মাবলির সঙ্গে চূড়ান্ত পরীক্ষার ছাত্ৰছাত্ৰীদের পাশ করানোর ব্যাপারে মডালিটি বা ফর্মুলা তৈরি করে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছিল সরকার। মাধ্যমিক ও হাইমাদ্রাসা পরীক্ষার জন্য গঠিত কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰাক্তন উপাচাৰ্য অধ্যাপক ড. অলক বুঢ়াগোঁহাইকে এবং হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার জন্য গঠিত কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় কুমার ভাস্কর বৰ্মা সংস্কৃত ও পুরাতন অধ্যয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাৰ্য অধ্যাপক দীপককুমার শৰ্মাকে। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের অভ্যন্তরীণ শৈক্ষিক কার্যক্রমের মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে আজ চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে অসম উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।