BRAKING NEWS

Dilapidated condition of the police stations : রাজ্যের থানাগুলির বেহাল অবস্থা, কঠিন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ১৮ জুলাই৷৷ ’মারো ঠ্যালা হেইয়া, আরো জোরে হেইয়া’৷ হাঁ.. এই পরিস্থিতি রাজ্যের অধিকাংশ থানা গুলিতে৷ দীর্ঘ বাম জামানা থেকে রাজ্যের থানা গুলির হাল-হকিকত যে চরম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তা রাম আমলেও একই অবস্থান৷রাজ্যের অধিকাংশ থানা গুলিতে যেমন রয়েছে পুলিশকর্মী স্বল্পতা৷সাথে ব্যারাকের করুণ দশা৷ আবার কোথাও গাড়ির সমস্যায় নাজেহাল পুলিশকর্মীরা৷ তেমনি উত্তর জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা কদমতলা থানা৷ যে থানার এক প্রান্তে রয়েছে ত্রিপুরা অসম সীমান্ত এবং অপর প্রান্তে রয়েছে ইন্দো বাংলা সীমান্ত৷ কদমতলা থানার আওতাধীন জনসংখ্যা ৮৩ হাজার ২৬২ জন৷ সেই অনুপাতে থানায় রয়েছে পুলিশ অফিসারের স্বল্পতা৷সাথে রয়েছে কনস্টেবলের স্বল্পতাও৷

গবাদিপশুর ঘরের ন্যায় কনস্টেবলদের ব্যারাকের হালহকিকত৷থানাতে গাড়ি সাকুল্যে তিনটি৷ দুটি জিপসি গাড়ির জান যায় যায় অবস্থা৷ তবে থার কোম্পানির নতুন একটি গাড়ি বেশ ভালোই রয়েছে৷ কিন্তু একটি গাড়ি দিয়ে তো আর এত বড় থানা এলাকা চলে না৷ সুতরাং জরুরী কালীন কোন ফোন বা নেশা বিরোধী অভিযানে যেতে গেলে চালকের আসন ছাড়া সকলে গাড়ি থেকে নেমে গাড়িতে ঠেলা দিয়ে বলতে হয়, মারো ঠ্যালা হেইয়া, আরো জোরে হেইয়া৷ সত্যি বড্ড করুন অবস্থা কদমতলা থানার৷ সময় মতো অসুকলে না পৌঁছলে যেমন পুলিশ আমজনতার গালাগাল খেতে হয়৷ তেমনি উর্দতন কর্তৃপক্ষের রক্তচক্ষু দেখতে হয়৷

তাই কদমতলা থানার পুলিশ বাবুরা অস্ত্রহীন সিপাহীর মত দপ্তরে উদাসীনতার যাঁতাকলে বড্ড অসহায় অবস্থায় কঠোর পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন৷সংশ্লিষ্ট দপ্তর চোখ তুলে তাকাচ্ছে না এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি থানার দিকে৷আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়সারা মনোভাবে স্থানীয় কদমতলা থানা এলাকার জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন৷সাথে থানা এলাকায় হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে থানার জিপসি গাড়ি৷ তাই কদমতলা বাসি জোরালো দাবি তুলছেন,অতিসত্বর কদমতলা থানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশকর্মী ও গাড়ি প্রদান করুক,সাথে কনস্টেবলদের ব্যারাক মেরামত করা হোক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *