Officers with the land brokers : ছুটির দিনে অফিসের দরজা বন্ধ করে জমির দালালদের নিয়ে তিন অফিসারের জারিজুরি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১৮ জুলাই৷৷ রবিবার দুপুর প্রায় দুইটা এমন সময় সাংবাদিকদের কাছে খবর আসে জেলার ট্রেজারি অফিসের দরজা বন্ধ করে দালালদের উপস্থিতিতে কিছু একটা দুর্নীতি চলছে৷ তিন জন সাংবাদিক গিয়ে দেখে অফিসের মূল ফটক খোলা৷ ভেতরে ঢুকে দেখা যায় লোহার দরজা খোলা৷ ভেতরে ঢুকে সবগুলোই কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পায়৷
সাংবাদিকরা একটা কক্ষের ভেতর মানুষের কিছু কথাবার্তা শোনা পায়৷ দরজায় আওয়াজ করতেই একজন এসে দরজা খুলে৷ সাংবাদিকদের ক্যামেরায় বন্দী হতে শুরু করে তাদের দুর্নীতি৷ ভেতরে ছিল আর আই বাবুল মালাকার, কম্পিউটারে পর্চা বানাতে থাকা নরেন্দ্র নাথ, বাম সরকার পতনের পর দুর্নীতির জন্য বদলি হওয়া যে দুনম্বরী টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ ভিখারী থেকে কোটি টাকার মালিক যীশু দাস৷ বর্তমানে তাকে কাঞ্চনপুরের দশদায় বদলি করা হয়েছে৷ তাদের সঙ্গে দুই দালাল জেল রোডের বিভাস নাথ এবং থানা রোডের দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য ওরফে লটুই৷


সাংবাদিকদের ক্যামেরা অন হতেই লটুই তাড়াতাড়ি করে তার কাগজপত্র ফাইলে ঢুকিয়ে পলায়ন করে৷ অন্য দালাল বিভাস নাথ কোন রকমে পালায়৷ তবে দুর্নীতিগ্রস্ত বদলি হওয়া তহশিলদার যীশু আমতা আমতা করে একবার পি আর টি সি করতে এসেছে, একবার দলিল করতে এসেছে বলে আওরাতে থাকে৷ আর আই বাবুল মালাকার আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদেরকে বাঁচাতে চেষ্টা করে৷ তবে একটা কথারও সদুত্তর দিতে পারেননি৷ সৎ পথে কোন জায়গার কাগজপত্র উদ্ধার করতে জুতার তলা চলে যায়৷আর দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী ও দালালদের সহায়তায় রবিবারেও জমির কাগজপত্র বের হয়ে যায়৷


উল্লেখ্য উত্তর জেলা জমি কেলেঙ্কারিতে সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে৷ একজনের জায়গা আরেকজন বাইরের লোক তহশিলদার আর সাব-রেজিস্ট্রারকে হাতে রেখে বিক্রি হয়ে যায়৷ গুচ্ছ গুচ্ছ জমি কেলেঙ্কারির মামলা চলছে উত্তর জেলা জুড়ে৷ এখানেই দালালচক্র সবচেয়ে বেশি সক্রিয়৷ তাই দুর্নীতি ও চূড়ান্ত পর্যায়ে৷ উপাধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেনের সাথে এই ঘটনা জানিয়ে কথা বলা হলে, তিনি বলেন দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খুলে দিতে৷ তিনিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন৷ বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে এসব বামপন্থী কর্মচারী নেতাদের তিনি হাতেনাতে ধরতে পারছেন না৷ দুর্নীতি দমনে উপাধ্যক্ষ সাংবাদিকদের সাহায্য কামনা করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *