BRAKING NEWS

এদেশে ব্যবসা করতে চাইলে ভারতের সংবিধান মানতে হবে সোশ্যাল সাইটগুলিকে : রবিশঙ্কর প্রসাদ

নয়াদিল্লি, ৬ জুন (হি.স.) : সোশ্যাল সাইটগুলি ভারতে ব্যবসা করতে চায় তবে তাদের ভারতের সংবিধান মানতে হবে এবং তা মেনেই ব্যবসা করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন  বা নির্দেশিকা নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তথ্য ও প্রযুক্তি এবং আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ । তিনি বলেন, এই নিয়মগুলি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে একটি রিহার্সাল মেকানিজম। সোশ্যাব মিডিয়া ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে মধ্যস্থতা করা এবং একটি প্রতিকারের জন্য এগুলি গ্রহণ করা হয়েছে।


অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের নতুন  গাইডলাইনে সোশ্যায় মিডিয়ায় বাকস্বাধীনতা খর্ব করছে।  রবিবার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি এবং আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, যদি সোশ্যাল সাইটগুলি ভারতে ব্যবসা করতে চায় তবে তাদের ভারতের সংবিধান মানতে হবে এবং তা মেনেই ব্যবসা করতে হবে। এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, এই নির্দেশিকা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয়। কেউ কারোর সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায় করতেই পারে। তা হতেই পারে প্রধানমন্ত্রী বা প্রশাসনের সমালোচনা। কিন্তু অশালীন ভাষা প্রয়োগ কোনও ক্ষেত্রেই কাম্য নয়। তবে এরপর তিনি বলেন, যদি কোনও মা এসে অভিযোগ করেন তাঁর মেয়েকে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে, তাহলে কী করা উচিত?


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, এই নতুন নির্দেশিকায় সংস্থাগুলিকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন এবং সর্বক্ষণের গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত কোনও মেসেজ আপত্তিকর হয় তবে তা কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত করে দেবে। এরপর তা ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে মুছে ফেলতে হবে। মেসেজিং অ্যাপের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে নির্দেশিকা। এক্ষেত্রে কোনও অযাচিত মেসেজ যদি ভাইরাল হয়ে যায় তা প্রথম কে লিখেছে তা জানতে হবে। অর্থাৎ এক কথায় মেসেজ ট্রেসিংয় আনতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সাধারণ ব্যবহারকারীদের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেছেন, হিংসার বার্তার মূল অনুসন্ধান করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *