নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ১৪ মে৷৷ পিতৃ-মাতৃ হারা চবিবশ বছরের ধর্ষিতা যুবতীর বাড়িতে গেলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী৷ কথা বললেন ধর্ষিতা সহ তার আত্মীয় পরিজনদের সাথে৷ দাবি তুললেন ধর্ষণকারী মোহন গৌড়ের কঠিনতম শাস্তির৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন বজেন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের মতিঝিল এলাকার মোহন গৌড় পিতা করমেন গৌড় গত ২ মে রাত্রি বেলা একই গ্রামের পিতৃ মাতৃ হারা চবিবশ বছরের এক যুবতীর ঘরে প্রবেশ করে যুবতীকে বলপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ধর্ষিতা যুবতীর বাবা মা নেই৷ঘরে একমাত্র ছোট একটি ভাই রয়েছে৷আর তারই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নরপিচাশ মোহন গৌড় পাশবিক লালসা চরিতার্থ করে৷ তারপর টানা দশ দিন পঞ্চায়েত সালিশি সভা ও হুমকির মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারী মোহন গৌড়৷অবশেষে ১২ মে ধর্ষিতা যুবতী কদমতলা থানার দ্বারস্থ হয়ে অভিযুক্ত মোহন গৌড়ের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা রুজু করে৷ কদমতলা থানার পুলিশ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ নম্বরের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৭/৩৭৬/৫০৬ ধারায় মামলা হাতে নিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী মোহন গৌড়কে গ্রেফতার করে জেলা আদালতে প্রেরণ করে৷ জেলা আদালতের মাননীয় বিচারক ধৃত ধর্ষণকারী মোহন গৌড়কে ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন৷
বর্তমানে ধর্ষণকারী জেল হেফাজতে রয়েছে৷
এদিকে আজ ধর্ষিতা যুবতীর খোঁজ খবর নিতে সরজমিনে যুবতীর বাড়িতে ছুটে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী৷ ধর্ষিতা যুবতীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষিতা যুবতীসহ তার আত্মীয় পরিজনদের সাথে বিশদে আলোচনা করেন ও ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করেন৷ পাশাপাশি রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর মোহন গৌড়ের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি তোলেন৷ তাছাড়া মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী আরো জানান, রাজ্য মহিলা কমিশন ধর্ষিতা যুবতীর ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে সর্বদা পাশে থাকবে৷ এখন দেখার বিষয়,পিতৃ মাতৃ হারা অনাথ ধর্ষিতা যুবতী কতটুকু ন্যায় বিচার পায়৷